নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মাদক কারবারিতে জড়িত থাকার দায়ে ২৮ জুন গ্রেপ্তার হন রাজন। এ গ্রেপ্তারের পেছনে ব্যবসায়ী সাইফুলের হাত রয়েছে ধারণা তার। এ কারণে জেল থেকে বেরিয়েই সাইফুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। এদিকে সাইফুল সম্প্রতি পাশ্চাত্যের একটি দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। এজন্য তাড়াহুড়া করে রাজনের নেতৃত্বে জানে আলম, সুমন, লিটন, দিপু, সরোয়ার ও সজীবসহ ১০ থেকে ১২ জন সাইফুলকে পিটিয়ে হত্যা করেন। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী রাজনসহ সাতজনকে গত সোমবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে আটকের পর এসব তথ্য জানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব জানায়, গত ৩০ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় খেজুরবাগ স্কুল রোডে পৌঁছালে সাইফুলের পথরোধ করে ভিকটিম সাইফুলকে ক্রিকেট ব্যাট, লোহার রড ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। একপর্যায়ে মাটিতে পড়ে গেলে রাজন পাশের একটি দোকান থেকে চামচ নিয়ে এসে সাইফুলের চোখ উপড়ে ফেলেন। সাইফুলের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা সাইফুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, গত ৩০ জুলাই রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের খেজুরবাগ সাতপাখি এলাকায় সাইফুল নামে এক পোশাক ব্যবসায়ীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং চোখ উপড়ে ফেলে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত সাইফুলের বড় বোন বাদী হয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটক করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। ধারাবাহিকতায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সাইফুল মূলপরিকল্পনাকারী এর হত্যাকাণ্ডের রাজনসহ সাতজনকে আটক করে। আটক অন্যরা হলেন- জানে আলম (৩৬), মো. সুমন ওরফে গর্দা সুমন (২৫), লিটন হোসেন (২৬), মো. দিপু (২৩), সরোয়ার আকন্দ (২৬), ও মো. সজীব (২৯)।