মজিদ মিয়ার নয় ছয়ে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকাদান কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবীদের টাকা।
জাহিদ হাসান :
মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তালিকায় দেখা যায় টিকাদান কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বিল তুলেছেন তার ছেলে রকিবুল হাসান, ছেলের বউ মেঘলা খাতুন ও ভূয়া নাম মেহেদি হাসানের নামে। আর তালিকায় একজন স্বেচ্ছাসেবীও পুরো টাকা পাননি বলে দাবি করেন।
স্বেচ্ছাসেবী কবিতা খাতুন বলেন, আমি ৫৮ হাজার ৮শ টাকা পাওয়ার কতা থাকলেও পেয়েছি ৪২ হাজার টাকা। বাকি টাকা চাইতে গেলে আব্দুল মজিদ আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। আর তালিকায় থাকা রকিবুল ইসলাম, মেঘলা খাতুন ও মেহেদী হাসানকে আমরা কখনই দেখিনি। এমনকি আমরা তাদের চিনিও না।
স্বেচ্ছাসেবী শান্তনা খাতুন বলেন, করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি। অথচ আমরা পাওনা টাকার পুরোটা কখনই পায়নি। আমাকে দেওয়া হয়েছে মাত্র ২২ হাজার টাকা। উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে বার বার জানিয়েও কোন সমাধান মেলেনি।
মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকাদান কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ প্রথমে বিলের তালিকা দেখাতে রাজি হননি। পরে তার সামনে তালিকা দেখালে ঘাবড়ে যান। তালিকায় থাকা কারো ঠিকানা ও মুঠোফোন নং দিতে পারেন নি। তার ছেলের নাম রাকিবুল বললে তিন বলেন রাকিবুল তার ছেলে নয় বরং তার ছেলের নাম জেম। তবে শেষমেশ স্বীকার করেন রকিবুল ইসলাম ও মেঘলা খাতুন তার ছেলে ও ছেলের বউ। আব্দুল মজিদের ছেলের জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে মেহেরপুর প্রতিদিন নিশ্চিত হয় তাদের পিতা পুত্রের সম্পর্ক। তবে টাকা উঠানোর বিষয় তিনি কিছুই জানেন না বরং দায় চাপান বড়বাবু ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার উপর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে একজন আছে শামীম খান নামের ।যে তার কার্ড বানিয়েছে এবং কার্ডে উল্লেখ আছে ইউনিট কমান্ডার, স্বেচ্ছাসেবক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মুজিবনগর মেহেরপুর। এ বিষয়ে শামীম খানকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান ইপিআই কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ এই কার্ড বানাতে বলেছেন। তবে ইপিআই কর্মকর্তা আব্দুল মজিদকে কার্ডের অনুমোদনের বিষয়ে কথা বললে বলেন এই কার্ডের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না এবং তিনি বানাতে বলেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডঃ আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিল প্রস্তুত করন, বিল প্রদান ও স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ সবকিছুই করেন ইপিআই কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ এখানে বড়বাবু বা আমার জড়িত থাকার কোন প্রশ্নই আসে না। বরং ইতিমধ্যেই একজন মেডিকেল অফিসার কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Tags:
মুজিবনগর