রাশিদুজ্জামান :
রাজধানীর মিরপুরে কালশী ফ্লাইওভার আজ রবিবার খুলে দেওয়া হবে। ঐ
এলাকায় যাতায়াতব্যবস্থা আরো সহজ হবে। মিরপুরের মানুষের জন্য এটা একটা আশীর্বাদ।
আনন্দঘন পরিবেশে ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন
করার পর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
এটা হবে রাজধানীবাসীর জন্য যোগাযোগব্যবস্থার আরেকটি মাইলফলক।কালশী
বালুর মাঠে আজ সকাল ১০টায় ফ্লাইওভার উদ্বোধন উপলক্ষ্যে একটি জনসভারও আয়োজন করা
হয়েছে। ফ্লাইওভারটি চালু হলে মিরপুরের সঙ্গে বনানী, উত্তরা এবং রাজধানীর
পূর্বাংশের যোগাযোগ আরো সহজ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সূত্রে জানা
গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর
প্রকৌশল বিভাগ। আর প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করেছে ডিএনসিসি। উদ্বোধনের
পর প্রকল্পটির তত্ত্বাবধান করবে ডিএনসিসি।
মিরপুর থেকে ১০-১৫ মিনিটে যাওয়া যাবে
বিমানবন্দর এলাকায়। সড়ক, ফুটপাত এবং ড্রেনের উন্নয়নকাজও করা হয়েছে।
ফ্লাইওভার
নির্মাণের সময়কাল নির্ধারণ করা হয় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ের
আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। ডিএনসিসির কালশী ফ্লাইওভারের দায়িত্বপ্রাপ্ত
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, ফ্লাইওভারসংলগ্ন সড়ক
সম্প্রসারণ হলে ভাসানটেক এলাকার মানুষও ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন।
ফ্লাইওভারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ১২
কোটি ১৭ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২৭৫৫ একর।
প্রকল্পের আওতায় রয়েছে চলন্ত সিঁড়িসহ দুটি
ফুটব্রিজ নির্মাণ, একটি পিসি গার্ডার ব্রিজ সম্প্রসারণ, সাইকেলের জন্য আলাদা লেন,
ছয়টি বাস বে ও যাত্রীছাউনি, আরসিসি ড্রেনসহ দুই মিটার চওড়া ফুটপাত (উভয় পার্শ্ব),
অযান্ত্রিক যানবাহন লেন (উভয় পার্শ্বে), পাবলিক টয়লেট একটি। মিরপুর ডিওএইচএস
প্রান্ত এবং ইসিবি চত্বর দিকের প্রান্ত থেকে ফ্লাইওভারে ওঠা যাবে। কালশী রোড
প্রান্ত দিয়ে নামার সুযোগ রয়েছে, ওঠা যাবে না। এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মিরপুরে এরই মধ্যে মেট্রোরেল চালু
হয়েছে। কালশী ফ্লাইওভার যুক্ত হলে ঐ এলাকায় যাতায়াতব্যবস্থা আরো সহজ হবে।