মাদারীপুর প্রতিনিধি::মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ‘বীর নিবাস’ ঘর
পেলো মুক্তিযোদ্ধারা। বুধবার সকালে গণভবন থেকে মাদারীপুরে জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য
কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জেলা
শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলার কয়েকশ’ মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত হন। এ সময়
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে কথা বলেন
সরকার প্রধান। অচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জমিসহ ‘বীর নিবাস’ নামে ঘর তৈরি করে
দেয়ায় দারুণ খুশি তারা। এতে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান মুক্তিযোদ্ধারা।শিবচর
পৌরসভার সাবেক প্রশাসক ও যুদ্ধকালীন সময় সাতখানা এরিয়া কমান্ডার বীর
মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন খান বলেন, একমাত্র শেখ হাসিনা সরকার দেখিয়ে দিলো দেশের
জন্য যারা যুদ্ধ করেছেন তাদের সম্মান কিভাবে দিতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর এমন
সিদ্ধান্ত শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেখানো নয়, পুরো দেশ ও জাতির প্রতি এই
সম্মান। তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর
নিবাস নির্মাণ করে দেয়ার জন্য।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন
জানান, ‘মাদারীপুর জেলায় ৩ হাজার ২০০ মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। ২৯৭টি ঘর বরাদ্দ হলেও
এরইমধ্যে ৩৭টি বীর নিবাস নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলার ১২টি, কালকিনিতে
১১টি, রাজৈরে ৬ ও শিবচরে ৮টি। প্রতিটি একতলার আধুনিক এই ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা
হয়েছে ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাদ্দকৃত
উপহার ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ করে দেয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য
অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকী, জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম, বিপিএম (বার)
পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) পল্লব কুমার হাজরা, অতিরিক্ত জেলা
প্রশাসক (রাজস্ব) ঝোটন চন্দ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল
ইসলাম, রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুজ্জামান, কালকিনি উপজেলা নির্বাহী
অফিসার পিংকি সাহা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাইনউদ্দিন, শিবচর উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিবুল ইসলাম, ডাসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমীন
ইয়াছমীন, যুদ্ধকালীন খলিল বাহিনী প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান
খান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান
হাওলাদারসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।