সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন মো: হাবিবুল হক খান



খুলনা ব্যুরো-
খুলনার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত যাতায়াতে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি গাড়ির অপব্যবহার করা ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার না করতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। অথচ খুলনা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মো: হাবিবুল হক খান তার ব্যক্তিগত কাজেই বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করছেন সরকারি গাড়ি। এমনকি তার ছেলেও সরকারি গাড়িটি হরহামেশা ব্যবহার করছেন। এতে একদিকে যেমন জ্বালানি তেল বেশি যাচ্ছে সরকারি কোষাগার থেকে। তেমনি ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের। সরকারি গাড়ি ব্যবহার ছাড়াও তার বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশের পরও বন্ধ হচ্ছে না সরকারি গাড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার। বাড়ির বাজার, ছেলে-মেয়েদের স্কুলে আনা-নেওয়াসহ পারিবারিক যেকোনো কাজে হরদম পুড়ছে সরকারি টাকায় কেনা জ্বালানি তেল।
অনুসন্ধান বলছে, ২০২০ সালে খুলনা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন মো: হাবিবুল হক খান। যোগদানকালে সরকারের পক্ষ তাকে সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য উন্নতমানের একটি গাড়ি দেয়া হয়। নিয়ম রয়েছে সরকারি কাজ ছাড়া উপজেলার বাইরে গাড়ি নিয়ে যেতে হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও সংশ্লিষ্ট কারণ থাকতে হবে। 

নাম না প্রকাশে বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, খুলনা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মো: হাবিবুল হক খান ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন সরকারি গাড়ি। এছারা তার ছেলেও গাড়িটি ব্যবহার করে থাকেন। ব্যক্তিগত কাজে গাড়ি ব্যবহার করায় বদনাম ছড়াচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের। এ ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।

সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত কাজে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করাও বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির পর্যায়ে পড়ে। এটি রাজস্ব ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্তমান জ্বালানি ব্যয় সাশ্রয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সামিল। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

জানতে চাইলে খুলনা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মো: হাবিবুল হক খান বলেন, গাড়ি আমি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করিনা। উর্ধতন কর্মকর্তার মৌখিক অনুমতি নিয়েই ব্যবহার করে থাকি। এতে সরকারি গাড়ির অব্যবহার হচ্ছে না। আর আমার ছেলে মাঝে মধ্যে ব্যবহার করে এটা সত্য।

Post a Comment

Previous Post Next Post