রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী চলন্ত বনলতা এক্সপ্রেসের ট্রেনের বগিতে হঠাৎ আগুন থেকে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই ঘটনায় যাত্রী বা ট্রেনের কোন ক্ষতি হয়নি। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার চাটমোহর স্টেশন এলাকায় বনলতা ট্রেনের 'খ' ও 'গ' বগির মাঝের স্টোররুমে জ্বলন্ত সিগারেট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে। যাত্রী ফয়সাল আহমেদ বলেন, এক ব্যক্তি 'গ' বগির পেছনের স্টোর রুমে সিগারেট টানার পর অবশিষ্টাংশ সেখানে ফেলে চলে যায়। ওই জ্বলন্ত সিগারেট থেকে রুমের ভেতরে থাকা একটি কম্বলে আগুন ধরে যায়। আগুন থেকে প্রচণ্ড ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়লে 'খ' ও 'গ' বগির যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সময় অনেক যাত্রীরা ট্রেন থামিয়ে নিচে নামার জন্যই হইচই শুরু করেন। এ ঘটনায় রেলওয়ের দায়িত্বরত স্টাফ ও যাত্রীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে রেল পুলিশ এসে সবাইকে শান্ত করে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে ওই ট্রেনের 'গ' বগিতে উপস্থিত পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের এজিএম ট্রেন পরিচালককে বিষয়টি অবহিত করেন। ট্রেন পরিচালক জিমি অন্যদের সহযোগিতায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ট্রেন পরিচালক জিমি বলেন, 'খ' বগিতে একটি ছোট স্টোররুম আছে। সেখানে কোন এক ব্যক্তি সিগারেট টেনে সেখানে ফেলে দেয়। ওই সিগারেট থেকে আগুন স্টোররুমে থাকা একটি কম্বলে আগুন ধরে কালো ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। পরে আগুন ধরে যাওয়া কম্বল ট্রেনের বাইরে ফেলে দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
তবে রেলওয়ের প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন যাত্রীর অভিযোগ, স্টোর রুমে দুজন ব্যক্তি ছিলেন বিনা টিকেটের। এসি বগির মধ্যে বিনা টিকেটের যাত্রী ওঠে কিভাবে। এছাড়া রেলওয়ের স্টাফ রুমে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সেখানে বাইরের মানুষ যায় কিভাবে? তারাই (রেলওয়ে স্টাফরা) আর্থিক সুবিধা নেবার জন্য এবং কর্তব্যে অবহেলার জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেলদের ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার দেশের বাইরে অবস্থান করায় তার মন্তব্য নেওয়া যায়নি।
তবে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশীর ডিভিশনাল ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ বলেন, বিষয়টি আমি কন্ট্রোল রুম থেকে শুনেছি। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি ডিউটিরত অবস্থায় তার দায়িত্বে অবহেলা করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।