স্টাফরিপোটার ঃ
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ভূঁইয়াপাড়ায় স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে থাকেন মো. আমিনুল ইসলাম। ঘটনার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, রোববার বিকাল ৪টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এতে আব্দুর রহিম নামের একজন ভ্যানচালকও গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর ইউনাইটেড হাসপাতালে আমাকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ডাক্তার দুদিন ভর্তি থাকার জন্য বলেন। কিন্তু আমি সামান্য বেতনে কর্ম করে খাই। এত খরচ দিয়ে তো ভর্তি থাকা সম্ভব নয়। ঘটনার পর এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছি। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে সামনে কীভাবে চলব তাই ভাবছি।এদিকে মামলার এজাহারে ঘটনার সূত্রপাত হিসাবে বলা হয়, গুলশান-১ এর ১১নং সড়কের মো. হাবিবুর রহমান আলিমের মালিকানাধীন আলফা জেনারেল স্টোরে যান আরিফ হোসেন। সেখান থেকে কয়েকটি বিকাশ নম্বরে ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা পাঠান। পরে টাকা পরিশোধ করছিলেন না তিনি। আলিম তাকে টাকা দিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। এরপর আরিফ ফোন করে মনির ও শরিফুলকে আনেন। শরিফুল ফোন করে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫নং সহসভাপতি মিন্টু এবং হুমায়ুনকে ডাকেন। তারা এসে বিকাশ দোকানদারকে ভয়ভীতি দেখান এবং মারধর করেন। এ সময় গুলশান শপিং কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দোকানের কর্মচারীরা প্রতিবাদ করেন। তখন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিন্টু তার কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে ৩-৪ রাউন্ড গুলি করেন। মিন্টু গুলি করার কারণে উপস্থিত লোকজন তাদের ধাওয়া দেয়। এরপর মিন্টু গ্লোরিয়া জিন্স কফি শপের সামনে দৌড়ে আসে। সেখানে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়িভাবে ৩-৪টি গুলি করে।
আলফা জেনারেল স্টোরের সহকারী খলিল বলেন, আমাদের দোকান থেকে পাঠানো ৭৫ হাজার টাকার বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। টাকা নেওয়া ব্যক্তিসহ অন্যদের গ্রেফতার করায় টাকা পেতে সময় লাগতে পারে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে টাকার বিষয়টি সুরাহা করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মো. আমিনুল ইসলাম Kbdnewsকে বলেন, পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই শরিফুল ও হুমায়ুন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।