ছবি-সংগৃহীত
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নেওয়া অবস্থান থেকে সরে গেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার রাত ৮টার দিকে তিনি সেখান থেকে চলে যান। এ সময় মির্জা ফখরুল গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘ব্যাগে করে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে নিয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য তারা পাঁয়তারা করছে। পুলিশ আমাদের কার্যালয় থেকে সিসিটিভি, হার্ডডিস্ক, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র— সব নিয়ে গেছে; যাতে হামলার কোনো আলামত না থাকে।
‘শুধু তাই নয়, তারা অফিসের মধ্যে ঢুকে সবকিছু ভাঙচুর করেছে। একাত্তরের হানাদার বাহিনীর মতো বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে’- অভিযোগ বিএনপি মহাসচিবের।দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে জানানো হবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় গুলিতে একজন নিহত হন।
ছবি-সংগৃহীত
এরপর বিকাল সোয়া ৪টার দিকে পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের জুয়েলসহ বহু নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে।
এ সময় মির্জা ফখরুল কার্যালয়ের সামনে আসেন। প্রথমে তাকে কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকতে বাধা দিলেও পরে যেতে বলা হয়। তবে মির্জা ফখরুল কার্যালয়ে না ঢুকে সামনেই বসে থাকেন। এদিকে রাত ৯টার পর সরেজমিন দেখা যায়, নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং এর আশপাশের এলাকা পুরো ফাঁকা। এখন শুধু পুলিশ ও কয়েকজন সাংবাদিক আছেন। পুরো এলাকায় নীরবতা। কোনো নেতাকর্মী নেই।