রক্ষক যখন ভক্ষক ! মেহেরপুরে বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক সংস্থার জমি সভাপতির নিজ নামে ভূঁয়া দলিলে গ্রাস করার অভিযোগ

 


আমিরুল ইসলাম অল্ডাম  ঃ মেহেরপুরের গাংনীতে বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক সংস্থার  জমি ও কার্যালয় বর্তমানে বেহাত। রক্ষক যখন ভ্ক্ষক ! বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক সংস্থা, গাংনী শাখার  জমি ও কার্যালয়ের ভবন গোপনে  কমিটির সদস্যদের জাল স্বাক্ষর করে ভূঁয়া দলিলে গ্রাস করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

জানা গেছে, সারা বাংলাদেশের ন্যায় গাংনীতেও বাংলাদেশ প্র্ক্তান সৈনিক সংস্থার নিজস্ব কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ২০০১ সালে সংস্থার নামে গাংনী পৌর সভার বাঁশবাড়ীয়া মৌজার অন্তর্গত (পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির  পূর্ব পার্শে)  .০৬ শতাংশ জমি  ক্রয় করা হয়। উক্ত জমি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এর ন্যায় তৎকালীন কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের নামে ক্রয় করা হয়। জমি ক্রয়ের পরপরই উক্ত জমির উপর সংস্থার কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ভাল ভাবেই চলছিল সংস্থার কার্যক্রম। বিগত ২০ বছরে বেশ কয়েকবার কমিটি পরিবর্তন করা হয়েছে। একপর্যায়ে ৫-৬ বছর সংস্থার কার্যক্রম  সংস্থার সদস্যদের মধ্যে দ্বিধা বিভক্ত হওয়ার কারনে কিছুটা  গতি হারিয়ে ফেলে। ফলে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে সংস্থার কার্যালয়। এই সুযোগে সংস্থার সভাপতি কার্যালয়টি ব্যবসা ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ভাড়ায় নেয়। সংস্থার অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে সভাপতি ও সম্পাদকসহ সদস্যদের  মধ্যে টানাপোড়েন ও দিধাদ্বন্দ্ব  শুরু হয়। 

এ দিকে সংস্থার সভাপতি সাবেক সেনা সদস্য কাজিমউদ্দীন গোপনে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কয়েকজনকে ম্যানেজ করে এবং কয়েকজনের  স্ব্ক্ষার  জাল করে রেজুলেশন করে জমি  গ্রাস করার পরিকল্পনা করে। সে মতে কাজিমউদ্দীন ২০১৭ সালে জমি নিজ নামে পরবর্তীতে স্ত্রী ও মেয়ে জামাইয়ের নামে জমি রেজিস্ট্রী করে হস্তান্তর করেছে। দলিল মূলে ইতোমধ্যে তিনি ক্রয় কৃত জমি  খারিজ করে ফেলেছেন।  রেজুলেশনে নিজের নাম স্বাক্ষর থাকলেও কয়েকজন কমিটির সদস্য জানান, উক্ত রেজুলেশনে স্বাক্ষর জাল । উক্ত স্ব্ক্ষার আমরা করি নাই। 


এব্যাপারে প্রাক্তন সৈনিক সংস্থার গাংনী শাখার সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ জানায়। কৃচক্রী কাজিমউদ্দীনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে  প্রতিবাদী সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের শরনাপন্ন হয়। 

আজ বুধবার সকালে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন সৈনিক  কাজিমউদ্দীনের খারিজ বাতিল করার দাবিতে তাদের  বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ্ইউএনও’র বরাবর অভিযোগ করেন। নির্বাহী অফিসার বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর আদালতে মামলা করার পরামর্শ প্রদান করেন।  এসময় নবাগত গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা  প্রকৌশলী  নিরঞ্জন চক্রবর্তী, প্রাক্তন সৈনিক সংস্থার সদস্য জিহাদ আলী, ইসরাফীল হোসেন, মখলেছুর রহমান, রবিউল ইসলামসহ ১৫-২০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।  উল্লেখ্য, গাংনীতে ১২৫ জন সদস্য (সাবেক সেনা) রয়েছে।  

তথ্য মতে, গাংনী উপজেলার অধিন ৪৭ নং মৌজা বাঁশবাড়ীয়া,খতিয়ান নং-৭৬/১১.হোল্ডিং  নং-২৬৩৩ আর এস দাগ নং-২১২ জমির পরিমাণ .০৬ শতক। উক্ত জমির মূল্য বর্তমান বাজার দর হিসাবে ১ কোটি টাকা।এনিয়ে সাবেক সৈনিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। 

     





Post a Comment

Previous Post Next Post