খুলনায় পৃথক দুটি মামলায় বিএনপির ৩২০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে


খুলনা বুরো :  বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের সময় রেলস্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনায় ১৭০ জন এবং  ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে ৫৯ নেতাকর্মী উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, বিভাগীয় গণসমাবেশের দিন ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপির ১৫০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকালে নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক কাজী মোবাশ্বের বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে দৌলতপুর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক নান্নু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুর্শিদ কামাল, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নেহিমুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ইমাম হোসেন, আড়ংঘাটা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মতলেবুর রহমান মিতুলসহ ৫৯ নেতাকর্মী উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরো ১৫০ জনকে আসামি করার কথা বলা হয়েছে। এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, শনিবার দুপুর ১টায় আসামিরা ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে জড়ো হয়ে ভাঙচুর চালায়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী কামাল হোসেন বলেন, মামলায় ৫৯ নেতাকর্মী এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, খুলনা রেলস্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ১৭০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরেক মামলা দায়ের হয়েছে। গত শনিবার রাত ১০টার দিকে রেলস্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

খুলনা রেলওয়ের স্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, গত শনিবার বিএনপির গণসমাবেশে আসা অনেক নেতাকর্মী রেলস্টেশনের ভেতরে ঘোরাঘুরি করছিলেন। পুলিশ তাদেরকে বাইরে যাওয়ার আহ্বান জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে দুপুরে তারা মেইন গেট, বুকিং কাউন্টার ও সার্ভার রুমের গ্লাস ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

খুলনা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবির আহমেদ বলেন, রেলস্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনায় শনিবার রাতে বিএনপির অজ্ঞাতনাম ১৭০ জন নেতাকর্মীর নামে রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন স্টেশন মাস্টার মনিক চন্দ্র সরকার।

 


Post a Comment

Previous Post Next Post