আমিরুল ইসলাম অল্ডাম ঃ
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বড় ভাইয়ের ইন্ধনে গ্রামের ভাড়াটে মাস্তান দিয়ে ছোট ভাই (শারীরিক প্রতিবন্ধী)আব্দুর রহমান (৫৫) ক্রয়কৃত দখলীয় জমি জবরদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকাল ৯ টার সময় কাজীপুর মাঠপাড়া গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে প্রকৃত জমির মালিক আব্দুর রহমান (৫৫)সহ তার ছেলেদের উপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোটা দিয়ে হামলা চালিয়ে জখম করা হয়। কামাল হোসেন, ইদু ও শাহাদাতসহ তাদের পরিবারের নারী পুরুষ হামলা চালিয়ে জখম করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কাজীপুর মুন্সীপাড়ার শওকত আলীর ছেলে প্রতিবন্ধী আব্দুর রহমান (৫৫) ক্রয়সূত্রে ২৩ জেএল নং কাজীপুর মৌজার খতিয়ান নং ৬৩৫ আরএস দাগ নং ১৩৪৭ জমির পরিমাণ ৩৮ শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক। অন্যদিকে আব্দুর রহমানের বড় ভাই আব্দুস সামাদ একই মালিকের নিকট থেকে জমি যার খতিয়ান নং ৭৮৮ আরএস দাগ নং ১৩৪৭ জমির পরিমাণ ৬৪ শতাংশ জমি ক্রয়সূত্রে মালিকানা রয়েছে। উক্ত দাগে মোট জমির পরিমাণ ১ একর দুই শতাংশ। সে হিসাবে দুই ভাইয়ের ক্রয়কৃত জমির পরিমাণ ঠিক রয়েছে। উক্ত জমি রাস্তার পার্শ্বে হওয়ায় প্রভাবশালীরা লাঠির জোরে রাস্তার সামনে অর্থ্যাৎ সম্মুখ ভাগে সম্পূর্ণ অংশটুকু দখল নিতে চাই। অথচ একই দাগের জমি হলেও খতিয়ান আলাদা রয়েছে।
পিতার অবর্তমানে বাড়িঘর বিষয় সম্পত্তি প্রতিবন্ধী ভাই আব্দুর রহমান দেখাশোনা করতেন। স্বার্থান্বেষী বড় ভাই প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ চাকরীর সুবাদে ঢাকায় অবস্থান করেন। হঠাৎ ছোটভাই আব্দুর রহমানকে না জানিয়ে গোপনে গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিকট বড় ভাই আব্দুস সামাদ বিক্রি করে দেয়।
জানা গেছে, স্থানীয় কুচক্রী মহল কাজীমউদ্দীন এর ছেলে কামাল, মুত আজের আলী দফাদারের প্রবাস ফেরত ২ ছেলে ইদু ও শাহাদতের কাছে ৬৪ শতক জমি আব্দুস সামাদ বিক্রি করে দেয়। আব্দুর রহমান আরও জানান, আমি গরু চরিয়ে, লাঙ্গল চাষ করে পরের জমিতে কামলা খেটে ভাইদের মানুষ করেছি, লেখাপড়া শিখিয়েছিলাম। আজ আমার ভাই প্রকৌশলী হয়েছে, অনেক টাকা হয়েছে কিন্তু প্রকৃত অর্থে মানুষ হতে পারেনি। ৫৮ বছর আমি আমার বাবার অবর্তমানে বাড়ির সবকিছু জমিজমা দেখাশোনা করে রেখেছি। অথচ আমার শিক্ষিত ভাই আমার সাথে প্রতারণা করে ভাড়াটে মাস্তান দিয়ে আমার বৈধ জমি জবরদখল করে বেড়া দিয়েছে। কাজীপুর মাঠপাড়ার স্থানীয় মৃত আদ’ুর ছেলে একজন দালাল আব্দুর রহমান এর কথামত আমার জমি দখলের পায়তারা করছে।
এ বিষয়ে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের অভিযোগে ঘটনা স্থলে স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশ ও থানা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা গেলেও তাদের নির্দেশনা উপেক্ষা করে জমি জবরদখল করেছে। যেটা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ। গাংনী থানার সে তদন্ত মনোজিত কুমার নন্দী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুষ্ঠু ফয়সালা দিলেও স্থাণীয় প্রভাবশালীরা তা অমান্য করে জমি দখলে নিয়েছে।
মেহেরপুর