আবির
আবহাওয়াবিদগণ বলছেন,
চলতি মাসের শেষভাগে সাগরে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে সুপার সাইক্লোনের শক্তি
অর্জন করতে পারে। যার আঘাতে উপকূলভাগ লণ্ডভণ্ড হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর গতিবেগ হতে পারে
ঘণ্টায় ২১০-২৫০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের
আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে এর নামকরণ করা হয়েছে ‘সিত্রাং’। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু
বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট
সিস্টেম বা সংক্ষেপে জিএফএস বিশ্লেষণ করে ইত্তেফাককে বলেন, অক্টোবরের ১৮ থেকে ২৫ তারিখের
মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি সুপার সাইক্লোন সৃষ্টির সম্ভাবনার কথা নির্দেশ করছে। কানাডা
ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মডেল থেকে প্রাপ্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে ২০ অক্টোবর সম্ভাব্য
ঘূর্ণিঝড়টি মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। এই মডেলগুলো অনুসারে আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে
সৃষ্ট সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ সরাসরি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত
হানার সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে সুপার সাইক্লোন হিসাবে। এখন অনেক কনফিডেন্স সহকারে বলা
যায় যে এই ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।
এই আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ বলেন, ঘূর্ণিঝড়
’আম্ফান’ যে পথে স্থলভাগে আঘাত হেনেছিল সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে সম্ভাব্য সিত্রাংও
প্রায় একই স্থানে আঘাত করার সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল।
ঘূর্ণিঝড়টির কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুচাপ ৯৪১ মিলিবার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। সেই
সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। এই
গতিবেগে উপকূলে আঘাত করলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক একই পরিমাণ হবে যেমনটি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড়
‘সিডর’ এর কারণে ২০০৭ সালে খুলনা বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে
মোস্তফা কামাল বলেন, ২৫ অক্টোবর
অমাবস্যা। ফলে সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়টি যদি অক্টোবরের ২২ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে স্থলভাগে
আঘাত করে, তবে যে স্থানে আঘাত করবে সেই স্থানের উপকূলীয় এলাকা লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে যাওয়ার
সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ।