মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি ঃ মেহেরপুরের গাংনীর পল্লী খড়মপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় শিশু কন্যাকে ধরে নিয়ে নির্জনে মারপিট , নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি শিশু সুমাইয়া খাতুন (৮ কে বাড়ির পার্শ্বের একটি জঙ্গলে নিয়ে শাস্তিস্বরুপ কিল চড় ঘুষি মেরে মাটিতে থুথু ফেলে সেই থুথু মুখ দিয়ে চাটিয়ে নিয়ে অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে গত বুধবার (২১ সেপ্টে),বিকেলে ।ন্যাক্কার জনক এমন ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে পাষন্ড শওকত আলী ও তার পরিবারের লোকজন উল্টো সুমাইয়ার বাবা আব্দুস সামাদ(৪২), মা হেলেনা খাতুন (৩৫),সুমাইয়ার নানী রেজিয়া খাতুন (৫৫), ও সুমাইয়ার ভাই ইমরুল(১৭) কে লাঠি পেটা করে ।এসময় সবাই রক্তাক্ত জখম হলেও রেজিয়ার একটি হাত ভেঙ্গে যায়। এসময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও সুমাইয়ার নানী খড়মপুর গ্রামের মৃত নূর বক্সের স্ত্রী রেজিয়া খাতুনকে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শিশু সুমাইয়া খাতুন (৮) পাড়ার খেলার সাথীদের নিয়ে বাড়ির পার্ম্বে খেলা করছিল। এসময় খড়মপুর গ্রামের ঘরজামাই শওকত আলীর স্ত্রী বানু খাতুন পাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় সম্পর্কে দাদি বানু খাতুন শিশু কন্যা সুমাইয়াকে খারাপ ভাষায় ইঙ্গিত বা কটুক্তি করলে সুমাইয়া প্রতিউত্তরে দাদিকে রশিকতা করে গালি দেয়। এই রশিকতা সইতে না পেরে দাদি সম্পর্কের বানু কৌশলে সুমাইয়াকে বাড়ির পার্শ্বে একটি নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে কিল চড় ঘুষি মেরে তারপর মাটিতে থুথু ফেলে তা চাটিয়ে নেয়। পরে সুমাইয়া কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে সব ঘটনা খুলে বলে। ঘটনার প্রতিবাদ করতে সুমাইয়ার নানীম বাবা, মা প্রতিবেশী শওকত আলীর বাড়িতে গেলে শওকত আলী, তার স্ত্রী বানু খাতুন ও তার ছেলে ডাবলু ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালিয়ে মারপিট করে এবং রক্তাক্ত জখম করে। এসময় নানী রেজিয়ার হাত ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে রেজিয়া খাতুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।