মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি ঃ মেহেরপুর সদর উপজেলার ময়ামারী গ্রামের সড়কের পাশে লিচুবাগান থেকে জামাল হোসেন নামের এক অটো চালকের লাশ উদ্ধারের একদিন পর ঘটনার মূল হোতা শহিদুল ইসলামকে (৪৭) আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত শহিদুল মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে।
শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে মেহেরপুর ডিবি পুলিশের একটি দল কুষ্টিয়ার কালিশংকরপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে শহিদুলকে আটক করে।
জানা গেছে,আটককৃত শহিদুল ও জামাল প্রায়ই একসঙ্গে মাদক সেবন করতেন। ঘটনার দিন ময়ামারী সড়কের একটি লিচু বাগানে দুজনের নেশা করার পর শহিদুল কৌশলে জামালকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে অটো বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে অটোবাইকটি কুষ্টিয়ার আলমপুর নামক স্থানে রাজিব নামের এক ব্যক্তির কাছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। রাজিব তাকে ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন এবং বাকি ৩০ হাজার টাকা ইজিবাইকের চার্জারসহ অন্যান্য কাগজপত্র দেয়ার পরে টাকা পরিশোধ করবেন।
এদিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মেহেরপুর জেলা ডিবির ওসি সাইফুল আলম ও মেহেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মেজবাহউদ্দীনসহ সঙ্গীয় ফোর্স কুষ্টিয়ার কালিশংকরপুর গ্রামে অভিযান চালান। শুক্রবার দিবাগত রাতে শহিদুলকে আটক করার পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অটোবাইকটি উদ্ধার করা হয়।
মেহেরপুর সদর থানা সূত্র জানায়, শনিবার তাকে মেহেরপুর আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি দল ময়ামারী সড়কের পাশে একটি লিচু বাগান থেকে অটো চালক জামাল হোসেনের লাশ উদ্ধার করেন। জামাল জেলার গাংনী উপজেলার রামকৃঞ্চপুর ধলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।