গাংনীতে শিক্ষার্থী মারপিটের প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের পাল্টা পাল্টি অভিযোগ

 


 আমিরুল ইসলাম অল্ডাম  ঃ মেহেরপুরের  গাংনী  রাধাগোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে মারপিট ও নির্যাতনের ঘটনাকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ উঠেছে।  ছাত্র ছাত্রীদের শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব তার সহকারী শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ,হেয় প্রতিপন্ন করা, এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলে জানা গেছে।অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক  এর সত্যতা অস্বীকার করে বলেন,   এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

রাধাগোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিরাজ শরীফ, আব্দুর রশীদ ও জাকির হোসেনের  আনিত অভিযোগের  ভিত্তিতে জানা গেছে, আজ বুধবার  সকাল  ১০টা -১০ মিনিটের দিকে  বিদ্যালয়ের  অফিসে প্রদান শিক্ষক তাদের ডেকে নিয়ে গ্রামের নিকটাত্মীয়, ভাড়াটে মাস্তান লেলিয়ে দিয়ে অপমান ও  চড়, কিল, ঘুষি  এবং লাথি মেরে লাঞ্ছিত করে।লাঞ্ছিত ৩ জন সহকারী শিক্ষক অপমান সইতে না পেরে এবং প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের হুমকির প্রতিবাদে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট মৌখিক অভিযোগ করেন। 

উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাহজাহান রেজার কার্যালয়ে একাধিক গণমাধ্যম কর্মীর উপস্থিতিতে মিরাজ শরীফ বলেন,রাধাগোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান  শিক্ষক হাবিবুর রহমান এর নানা দুর্নীতি রয়েছে। তিনি নিয়মিত স্কুল না করে অফিসে কাজের দোহায় দিয়ে প্রায়শঃ বাইরে থাকেন। ক্লাসের শিক্ষার্থীদের অকারনে মারপিট করে। পড়া না হলে ডাষ্টার দিয়ে মাথায় এবং পিঠে মারপিট করে। সে কারনে দিন দিন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যাচ্ছে।আমরা হোম ভিজিট করে তাদের আবার ক্লাসে নিয়ে আসি। মারধর করায় আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের  নানাভাবে অপমান ও গালিগালাজ করে।আজ অফিসের মধ্যে আমাকে লাঠি দিয়ে মারপিট করে এবং লাথি মেরে লাঞ্ছিত করে।  আমি এর বিচার চাই। 

 উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহজাহান রেজা জানান, আমি ঘটনার বিবরণ শুনেছ্।ি লিখিত অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের  বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষা অফিসার ফয়সাল বিন  হাসানকে তদন্ত কমিটির আহবায়ক করে ২ সদস্য বিশিষ্ট  তদন্ত কমিটি  গঠন করা হবে। আগামী ৪ কর্মদিবস শেষে তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার জন্য দায়িত্ব অর্পন করা হবে। 

এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  হাবিবুর রহমান জানান, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কখনই সহকারী শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণ করি নাই। সহকারী শিক্ষক রাগান্বিত হয়ে পায়ের স্যান্ডেল হাতে আমার দিকে তেড়ে আসে এবং অশ্লীলভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে আমাকে বাটাম দিয়ে  মারতে উদ্যত হয়। আমার মা বাবাকে নিয়ে সম্মানহানিকর কথা বললে আমি   উত্তেজিত হয়ে পড়ি। এ সময়  উভয় মিলে ধ্বস্তা ধ্বস্তি হয়। মিরাজ শরীফ আমাকে  লাঞ্ছিত করেছে এবং রক্তাক্ত জখম করেছে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ছুুটে আসে এবং উভয়কে নিবৃত করে। এখানে আমার ভাতিজা বা ভাই  কাউকে মারতে আসেনি।মিরাজ শরীফের অভিযোগ  মিথ্যা, সত্য নয়।   

       

              

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম


Post a Comment

Previous Post Next Post