মেহেরপুরের গাংনীতে স্কুলের বৈধ ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষী মহলের মিথ্যা অভিযোগ।

 


মেহেরপুরের গাংনীতে স্কুলের বৈধ ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষী মহলের মিথ্যা অভিযোগ।    


আমিরুল ইসলাম অল্ডাম  ঃ মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলাধীন বাওট সোলায়মানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বৈধ ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষী মহলের  মিথ্যা অভিযোগের  খবর পাওয়া গেছে।  বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষে  মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড , যশোর ২৯/০৯/২০২১ ইং তারিখ থেকে ৬ মাসের জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটির অনুমোদন  প্রদান করেন। এডহক কমিটির মেয়াদ ২৭/০৩/২০২২ ইং তারিখে শেষ হলে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের প্রয়োজন হয়। এ সময় উপজেলার বাওট গ্রামের  নিরক্ষর জন প্রতিনিধি নিয়ামত আলীর ইন্ধনে গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে মো. টোকন কে বাদী করে মেহেরপুর মোকাম বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে  এডহক কমিটি বাতিলের জন্য ৫ জনের নামে একটি দেং মামলা যার নং-০৮/২০২২ করেন। উক্ত মামলায়  বিবাদীদের প্রতি কোন নিষেধাজ্ঞার আদেশ  আদালত প্রদান করেন নাই। এ মতে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি ও প্রবিধানমালা ২০০৯ এর বিধান বলে অতি সত্বর ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা যেতে পারে এবং এতে আইনগত কোন বাধা নেই বলে উল্লেখ করা হয়। আদালতের আদেশ বলে ২৮-০৩-২০২২ ইং তারিখে  যথারীতি কার্যকরী কমিটি গঠন সম্পন্ন করা হয়েছে। 

কমিটির সদস্য সচিব ও বাওট সোলায়মানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রবিধিমালা  অনুযায়ী নিয়মিত পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে সৎ যোগ্য ও শিক্ষিত ব্যক্তি মো. সাহাবউদ্দীনকে সভাপতি মনোনীত করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোন ক্রমেই অবৈধ ভাবে কমিটি গঠন করা হয়নি। এ নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের  অপচেষ্টা চালাচ্ছে মাত্র। 

এব্যাপারে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সাহাবউদ্দীন জানান, শিক্ষা বোর্ডের বিধি মালা মেনে যথারীতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষক মন্ডলী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার , জেলা শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড , যশোর তথা মেহেরপুর -২ গাংনী আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয় অবগত রয়েছেন এবং অনুমোদন প্রদান করেছেন। তিনি আরও জানান, নিয়ামত আলী একজন সুচতুর প্রকৃতির লোক। তিনি লেখাপড়া জানেন না। নিরক্ষর বা ব-কলম হওয়া সত্বেও  তিনি ভূয়া ৮ম শ্রেনি পাশের সনদ বিদ্যালয়ে জমা দিয়ে ইতোপূর্বে  ক্ষমতাসীন দলের  প্রভাব বিস্তার করে ২ বার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনীত হয়ে  লুট পাট করে খেয়েছেন। বাবার কোন সম্পদ, টাকা পয়সা না থাকলেও তিনি স্কুলের সভাপতি হয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করে ৩/৪ টি বাড়ী, দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তিনি বাওট সোলায়মানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে  স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির নামে সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন না। আমরা আরও জানতে পেরেছি তিনি নিজেকে স্কুলের সভাপতি পরিচয় দিয়েছেন। এট্ওা অবৈধ । 

 এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসার জানান,  এডহক কমিটির মেয়াদ শেষে শিক্ষা বোর্ডের ২০০৯ সালের প্রবিধান মেনেই বৈধভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে কোন অনিয়ম বা  পক্ষপাতিত্বমূলক, মনগড়া কমিটি গঠন করা হয়নি। কমিটি গঠনের পর যথারীতি স্কুলের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।     


আমিরুল ইসলাম অল্ডাম


Post a Comment

Previous Post Next Post