মেহেরপুরের গাংনীতে জামাইয়ের হাতে শ্বাশুড়ী খুন
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি ঃ মেহেরপুরের গাংনীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে জামাইয়ের হাসুয়ার কোপে শ্বাশুড়ী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের করমদি মাঠপাড়া গ্রামে। নিহত রঙ্গিলা (৪০) করমদি মাঠপাড়া গ্রামের কৃষক শওকত আলীর স্ত্রী। হত্যাকারী জামাই বাদশা মিয়া একই গ্রামের শাহাপুর পাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, একই গ্রামে শ্বশুর জামাইয়ের বাড়ী। বিয়ের পর থেকেই বাদশা তার স্ত্রী রিমি খাতুনের সাথে মনোমালিন্য চলছিল। অভাবের সংসারে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যেই যৌতুকের দাবিতে পারিবাবিক কলহ ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। বাদশাহর স্ত্রী রাগে অভিমানে মায়ের বাড়ীতে চলে আসে। স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করলে শ্বাশুড়ীর সাথে জামাই বাদশা মিয়ার কথাকাটাকাটি হতো। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে বাদশাহ মিয়া শ্বশুর বাড়ীতে এসে তার স্ত্রীর সাথে কথাকাটির একপর্যায়ে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় মেয়েকে ঠেকাতে গেলে জামাই শ্বাশুড়ীকেও মারপিট করে।স্ত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে রাগে ক্ষোভে জামাই বাদশাহ বাড়ীর অদূরে কলাগাছের বাগানে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করতে যায়।নিরুপায় শ্বাশুড়ী জামাইকে বাঁচাতে গেলে উল্টো ক্ষিপ্ত জামাই ধারালো হাসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শ্বাশুড়ীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া পথেই রঙ্গিলা খাতুন মুত্যুর মুখে ঢলে পড়েন।
খবর পেয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হচ্ছে। হত্যাকারী পলাতক জামাই বাদশাহ মিয়াকে আটক করতে পুলিশ মাঠে অভিযানে নেমেছে।