ছবিঃ আমিরুল ইসলাম অল্ডাম
মেহেরপুরে অনুমোদন ছাড়াই সনো মেডিকেল সার্ভিসেস এবং মা ও শিশু চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র চালু। সিভিল সার্জন জানেন না।
Kbdnews/ আমিরুল ইসলাম অল্ডাম ঃ মেহেরপুরের গাংনীতে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই চালু করা হয়েছে রাজধানী সনো সার্ভিসেস এবং মা ও শিশু চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র । জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হলেও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা এমনকি সিভিল সার্জন ও কিছুই জানেন না।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, আজ থেকে প্রায় আড়াই মাস পূর্বে উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের বেতবাড়ীয়া গ্রামের পূর্বে (ভবানীপুর সড়ক) নাটনাপাড়া ব্রিজের সন্নিকটে একটি ভাড়া বাড়ীতে সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে দেদারছে বৈধ কোন কাগজপত্র ছ্ড়াাই অবৈধভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, এখানে সার্বক্ষনিক কোন ডাক্তার (এমবিবিএস) বসেন না। নেই কোন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবিকা,নেই কোন টেকনোলজিষ্ট,নেই কোন ফার্মাসিষ্ট, নেই কোন প্যাথোলজিষ্ট, নেই কোন অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক। অথচ এখানে মেডিকেল কালার ড্রপলার, আলট্রাসনো, ডিজিটাল ইসিজি, ডিজিটাল প্যাথলজির মত পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হচ্ছে। অদক্ষ লোকজন নিয়ে সেবা চালানো কেন্দ্রে যদি কোন রোগী মারা যায় বা সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে এর দায়-দায়িত্ব কে নেবে। এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যায়। এসময় সেবা কেন্দ্রের মালিক আল সালেক রাসেল উপস্থিত ছিলেন না।
সেবা কেন্দ্রের স্বত্ত¡াধিকারী জালালউদ্দীনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, সেবা কেন্দ্রের কোন বৈধকাগজপত্র বর্তমান আমাদের কাছে নেই। অজ পাড়া গাঁয়ে শিশু ও মায়েদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য আমি এই সনো সার্ভিসেস চালু করেছি। তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক ট্রেড লাইলেন্স সংগ্রহ করেছি। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন নিতে অনলাইনে নতুন লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ব্যাংক চালানের মাধ্যমে ফিস ও ভ্যাটের টাকা জমা দিয়েছি। তবে সিভিল সার্জন মহোদয়কে জানানো হয়নি। আমাদের এখানে প্যাথোলজিষ্ট বা নার্স কোনটাই প্রশিক্ষণপ্্রাপ্ত নেই। এ্যানী ও রতœা নামের দুজন সেবিকা হিসাবে রয়েছেন এরা উভয়ই ১০ম শ্রেনির ছাত্রী । সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মেডিকেল অফিসার নাসরিন আক্তার (মা ও শিশু চিকিৎসক) আসেন এবং মাত্র ৩ শ’ টাকা ফিস নিয়ে রোগী দেখেন। তিনি আরও বলেন, আমার দৌ লতপুর উপজেলার পার গোয়ালগ্রামে অর্থ্যাৎ নাটনাপাড়া ব্রিজের ওপারে জাহানারা ক্লিনিক নামের একটি সেবা কেন্দ্র রয়েছে। ওখানে নিয়মিত ডাক্তার বসে। সব ধরণের ব্যবস্থা রয়েছে।
এব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী জানান, আমাদের কাছে কোন আবেদন পত্র নাই। আমরা কিছুই জানিনা। তবে কাগজপত্র বিহীন অবৈধ ক্লিনিক বা ডায়ানষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন বা জেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারেন।