গাংনীর মোমিনপুরে এমজিজিএম নামের ভুঁয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা সময়ের দাবি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার নির্বিকার !

 


গাংনীর মোমিনপুরে এমজিজিএম নামের ভুঁয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা সময়ের দাবি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার নির্বিকার !


মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি  ঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চরগোয়ালগ্রামে প্রতিষ্ঠিত এমজিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  পাশাপাশি মোমিনপুর গ্রামে এমজিজিএম নামে আরও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গজিয়ে উঠেছে। গাংনীতে একই নামে দুটি স্কুল। উপজেলার মোমিনপুর গ্রামে গজিয়ে উঠা বিদ্যালয়ে হাতে গোনা ১০/১২ শিক্ষার্থী নিয়ে স্কুল চালানো হচ্ছে। যেখানে নেই কোন বেঞ্চ, নেই কোন টেবিল-চেয়ার। বলা চলে নেই কোন প্রধান শিক্ষক। এমনিভাবে চলছে ভ’য়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসার এ দায় এ দায় এড়াতে পারেন না।তার  অপকর্ম আর অর্থ বাণিজ্যের কারনে আজ  এরকম ভূয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলমান রয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানের বৈধ কাগজপত্র বা বৈধ শিক্ষক নেই, এরকম অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা সময়ের দাবি।

 গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত চরগোয়ালগ্রামে  চার গ্রামের আদ্য অক্ষর দিয়ে এমজিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ১৯৯৯ ইং সালে  স্কুলটি  প্রতিষ্ঠিত  হয়। নতুনভাবে প্রতিষ্ঠা করার পর এমজিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি  এখন  পত্র-পল্লবে পুষ্পিত। প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়টি সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে । সুদক্ষ শিক্ষক ও ম্যানেজমেন্ট থাকায় ৫ বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের  পাঠগ্রহন থেকে শুরু করে শিক্ষার ফলাফলে ক্রমাগত উন্নতি লাভ করেছে।  ইতোমধ্যে শিক্ষা বোর্ডের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে বিদ্যালয়টির নি¤œ মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিও ভুক্তি হয়েছে। 

সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও চর শিক্ষার পরিবেশ সম্পর্কে জানতে এমজিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হুদা জানান, আমাদের সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে  আমাদের বিদ্যালয়ের এমপিও বাধাগ্রস্থ করতে মোমিনপুর গ্রামে একই নাম এমজিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় নাম ব্যবহার করে নতুন ভাবে ভূয়া  স্কুল পরিচালনার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। 

নতুন সাইনবোর্ড লাগানো মোমিনপুর স্কুল সরেজমিনে পরিদর্শন করে  ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে  ৬ জন, ৭ম শ্রেণিতে ৩ জন , ৮ম শ্রেনিতে ৪ জন  শিক্ষার্থী উপস্থিত দেখা মিললো।কিন্তু রেজিষ্টার খাতা বা হাজিরা খাতা অনুযায়ী শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ১৩৯ জন।  কথিত প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন  জানান, আমি ্ এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।  আমি ২০১৮ সালে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগপ্্রাপ্ত।অন্যদিকে একই বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক ইমদাদুল হোসেন জানান, রুহুল আমিনের শিক্ষক নিবন্ধন নাই। তাই আমি উক্ত বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। কথিত প্রদান শিক্ষক রুহুল আমিন জানান, বিদ্যালয়ে মোট ১৩ জন শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে সিনিয়র ৯ জন এবং জুনিয়র শিক্ষক ৪ জন।  এসব শিক্ষক ২/১ জন বাদে সকলেই ২০১৮ সালে  অবৈধভাবে (শিক্ষক নিবন্ধন ছাড়াই)অবৈধ  নিয়োগ। এই সময় ৬ জন শিক্ষক উপস্থিত থাকলেও ৭ জন শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন। 

বিষয়টি শিক্ষা অফিসের খোজ নেয়া দরকার ছিল বলে সচেতন  মহলের দাবি। হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির সামিল। সরেজমিন পরিদর্শন করে অনতিবিলম্বে অবৈধ স্কুলটি বন্ধ করার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা  করেছেন। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী খানম জানান, এর আগেও স্কুল দুটির বিষয়ে  অভিযোগ পেয়েছি। মামলা চলমান রয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ।      


        

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম


Post a Comment

Previous Post Next Post