টানা চতুর্থ দিনে ২
হাজারের বেশি শনাক্ত
স্টাফরিপোটার :
করোনা ভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ ৪৯ জেলায় ছড়িয়েছে। সংক্রমণ ফের
বাড়তে থাকায় মৃত্যুও বেড়েছে। গত এক দিনে চার জন কোভিড রোগীর মৃত্যুর খবর
দিয়েছে স্বাস্হ্য অধিদপ্তর, যা ১৫ সপ্তাহে সর্বোচ্চ। গত ১১ মার্চের পর দিনে এত
মৃত্যু আর ঘটেনি। সেদিন পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীও ২
হাজারের ওপরেই রয়েছে। এ নিয়ে টানা চতুর্থ দিন ২ হাজারের বেশি রোগী ধরা পড়লো।গত ১৬
জুন থেকে প্রতি দিনই পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার টানা ১৪ দিন ৫ শতাংশের বেশি
হওয়ায় এরই মধ্যে বাংলাদেশের করোনার চতুর্থ ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা
হয়েছে। যেদিন চতুর্থ ঢেউয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়, তার আগের দিন মঙ্গলবার সরকারের
পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়, তাতে ধর্মীয় প্রার্থনার স্হান, শপিংমল, বাজার,
হোটেল-রেস্টুরেন্টে সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক না পরলে
আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এতে ভ্রূক্ষেপ নেই সাধারণের। মাস্ক পরছে
না অধিকাংশ মানুষ।
জনস্বাস্হ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু নির্দেশনা
দিলেই এই পরিস্হিতির পরিবর্তন আসবে না। এই নীতি বাস্তবায়নে প্রশাসনকে মাঠে থাকতে
হবে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৮৩ জন রোগী শনাক্তের কথা
জানানো হয়। তাদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৭৩
হাজার ৭৮৫। নতুন করে চার জনের মৃত্যুতে মহামারিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে
২৯ হাজার ১৪৯। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন ২৯০ জন, তাদের নিয়ে সুস্হ
হওয়ার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭ হাজার ৫০৯ জন। মহামারি শুরুর দুই বছর
গড়িয়ে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে
দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে এসেছিল।
ধারাবাহিকভাবে
কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে আসে। গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা নেমেছিল চার জনে। শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল বেশ কিছু দিন।
তবে গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে। ১১ সপ্তাহ পর দৈনিক
শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা গত ১২ জুন ১০০ ছাড়িয়ে যায়। ১৫ দিনের মাথায় সোমবার
তা ২ হাজারের ঘরও ছাড়ায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের
হার ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। এখন দৈনিক
রোগী শনাক্তের হার আবার সার্বিক গড় শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে। এই অবস্হাকে
মহামারির ‘চতুর্থ ঢেউ’ বলা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। এজন্য মাস্ক পরাসহ
স্বাস্হ্যবিধি মেনে চলার ওপর আবারও জোর দেওয়া হচ্ছে। গত এক দিনে যারা মারা গেছে,
তাদের একজন ঢাকা বিভাগের। বাকিদের মধ্যে দুজন চট্টগ্রাম বিভাগে এবং একজন রাজশাহী
বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। তাদের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। গত এক দিনে শনাক্ত
নতুন রোগীর মধ্যে ১ হাজার ৭২৭ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা।
বাংলাদেশে
প্রথম কোভিড রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮
মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্হ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫
আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের
সর্বোচ্চ সংখ্যা। আর ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮
জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
ধারাবাহিকভাবে
কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে আসে। গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা নেমেছিল চার জনে। শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল বেশ কিছু দিন।
তবে গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে। ১১ সপ্তাহ পর দৈনিক
শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা গত ১২ জুন ১০০ ছাড়িয়ে যায়। ১৫ দিনের মাথায় সোমবার
তা ২ হাজারের ঘরও ছাড়ায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের
হার ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। এখন দৈনিক
রোগী শনাক্তের হার আবার সার্বিক গড় শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে। এই অবস্হাকে
মহামারির ‘চতুর্থ ঢেউ’ বলা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। এজন্য মাস্ক পরাসহ
স্বাস্হ্যবিধি মেনে চলার ওপর আবারও জোর দেওয়া হচ্ছে। গত এক দিনে যারা মারা গেছে,
তাদের একজন ঢাকা বিভাগের। বাকিদের মধ্যে দুজন চট্টগ্রাম বিভাগে এবং একজন রাজশাহী
বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। তাদের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। গত এক দিনে শনাক্ত
নতুন রোগীর মধ্যে ১ হাজার ৭২৭ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা।
বাংলাদেশে
প্রথম কোভিড রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮
মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্হ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫
আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের
সর্বোচ্চ সংখ্যা। আর ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮
জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।