গাংনীতে ছোটভাই ও বোন জ্মাাইয়ের বাঁশের আঘাতে বড় ভাই নিহত



আমিরুল ইসলাম অল্ডাম  ঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউপির আওতাধীন হিন্দা পশ্চিম পাড়া গ্রামে  ছোট ভাই ও বোন জামাইয়ের আঘাতে  বড় ভাই খলিলুর রহমান (৬২) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছে। কৃষক খলিলুর রহমান হিন্দা পশ্চিত পাড়া গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর ছেলে। 

বাড়ীর পাশে লেবু গাছের ডাল ভাঙ্গার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খলিলুর রহমানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  গত শনিবার সন্ধ্যায় কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে বাড়ীর পার্শ্বের একটি দোকানে ডেকে নিয়ে খলিলুর রহমানকে জোরপূর্বক কান ধরে ্উঠবোস করে লাঞ্ছিত  করা হয়। লেবু গাছের ডাল ভাঙ্গার মত তুচ্ছ ঘটনা ও  জমি জমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রæতার জের  ধরে  ঐ সময় নিহতের ছোট ভাই হবিবর রহমান (৫২), ছোট বোন আজিমন নেছা(৫০), ভগ্নিপতি  আবুবকর (৫২) (ঘরজামাই), ও ভাগ্নে স্কুল পড়–য়া ছাত্র সজিব (১৭) সংঘবদ্ধ আক্রমন চালিয়ে  পাকা ঘরের সাটারিংএর তক্তা ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।  ঐ সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ভর্তি করে। পওে তার অবস্থা আশ্কংাজনক হলে ডাক্তার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। 

অসহায় খলিলুর রহমানের পরিবার তাৎক্ষনিক চিকিৎসা খরচ যোগাড় করতে রোগীকে বাড়ীতে নিয়ে আসে।  রোগীর অবস্থা খারাপ হলে গতকাল রবিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আজ সোমবার সকাল  ১০ টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা জানান, নিহত খলিলুর রহমান একজন কৃষক মানুষ। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে সংসার ও দিনাতিপাত করে থাকে। অনেক কষ্ট করে মাস তিনেক আগে একমাত্র ছেলেকে প্রবাসে পাঠিয়েছে। পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মামলা ফ্যাসাদ চলে আসছে। এদিন লেবু গাছের ছোট ডাল ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে  ছোট ভাই, বোন, ভগ্নিপতি ও ভাগ্নে মিলে হামলা করে লোহার পেরেক সম্বলিত ঘরের সাটারিংএর তক্তা দিয়ে খলিলুর রহমানের বাড়ীর সামনে বেধড়ক মারপিট করে হত্যা করে।  খলিলুর রহমানের একমাত্র পুত্রবধূ  সুকিলা খাতুন ও খলিলুর রহমানের স্ত্রী আশুরা জানান,আমরা এই হত্যার বিচার চাই। ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী ও নিকটাত্মীয় আরিফা খাতুন, আলী হোসেন , আব্দুল মতিন, দোকানদার শহিদুল ইসলাম পার্শ্বে দাঁড়িয়ে দেখলেও কেউ উদ্ধার করতে বা ঠেকাতে এগিয়ে যায়নি।  এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি  ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে হিন্দা পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের পাঠানো হয়েছিল।লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে।  অভিযোগ বা মামলা হলে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হবে। বর্তমানে ঘটনার সাথে জড়িতরা পলাতক রয়েছে। 

 



মোবাঃ ০১৭১৭-০০৮৩৫৫


Post a Comment

Previous Post Next Post