মেহেরপুরে ভাড়াবাসা থেকে সেনা সদস্যের স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

 


আমিরুল ইসলাম অল্ডাম  : মেহেরপুরের সদর উপজেলার আমঝুপি বাজারের একটি ভাড়া বাসা থেকে রওশন আরা খাতুন (৩০) নামের এক সেনা সদস্যের স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রওশন আরা মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে ও একই গ্রামের বদর উদ্দীনের ছেলে সেনা সদস্য মিঠু হোসেনের স্ত্রী।


আজ রোববার  সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটিদল  মরদেহ উদ্ধার করেছে ।


নিহতের স্বজনদের দাবি রওশন আরাকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে তার স্বামী সেনা সদস্য মিঠু। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা স্বামী মিঠুকে আটক ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেছেন।


স্থানীয়রা জানান,রওশন আরা আমঝুপি বাজারের কারিগর পাড়ার সামিউল টাওয়ারের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্লাটে ভাড়ায় থাকতো।

রওশানারার মা আমিনা খাতুন জানান, মিঠুর পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় আমার মেয়েকে মিঠু প্রায়ই মারধর করতো। প্রতিনিয়ত সে মোবাইলফোনে কথা বলাতে নিষেধ করতো রওশানারাকে । ৮ দিন আগে রওশনারার স্বামী সেনা সদস্য মিঠু ছুটিতে বাড়িতে এসে আজকেই ছুটি শেষ করে কর্মস্থলে ফেরার কথা ।

তবে সকালের দিকে মিঠু তার স্ত্রীর পাশে বসে কান্না কান্নাকাটি করলেও রওশানারার বাবার পরিবারের লোকজন আসার সাথে সাথে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায়।


নিহতের পিতা খলিলুর রহমান অভিযোগ করেন, মিঠু আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে আসছে। আমার মেয়ে প্রায় দিনেই ফোন দিয়ে তার উপর অকথ্য নির্যাতনের কথা বলেছে আমাদের। আমার জামাই মোবাইলফোনে পরকীয়া প্রেম করে বলে জানিয়েছিল মেয়ে। রওশন আরা তার স্বামী মিঠুকে পরকীয়া প্রেম করতে নিষেধ করাই মারধর করতো সে।

রওশন আরার বড় চাচা আব্দুল গনি অভিযোগ করেন, মিঠু ও রওশন আরাকে সম্পর্ক করে বিয়ে করাই মিঠুর পরিবারের লোকজন মেনে নেয়নি। তারা বলতো আজ হউক আর দশ বছর পর হোক রওশন আরাকে ছাড়িয়ে দেবে। মেয়েটি মৃত্যুর ভয়ে প্রায় কাতর থাকতো। তাকে মেরে ফেলা হবে বলেও সে আভাস দিয়েছে। এ ঘটনায় মিঠুর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন রওশন আরার পরিবারের লোকজন।


মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান বলেন, রওশন আরার পরিবারের লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে তার মরদেহ।




Post a Comment

Previous Post Next Post