করোনা চিকিৎসায় প্যাক্সলোভিড ব্যবহারের সুপারিশ ডব্লিউএইচওর

 


প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেটফাইল ছবি: রয়টার্স

 

হাসপাতালে ভর্তির উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ফাইজারের প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেট ব্যবহারের জোর সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আজ শুক্রবার ডব্লিউএইচও কথা বলেছে। খবর এএফপির

বিএমজে চিকিৎসা সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যেসব মানুষ করোনার টিকা নেননি, যাঁরা বয়স্ক বা যাঁদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের চিকিৎসায় প্যাক্সলোভিড খুব ভালো ফল দেয়

ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ঠেকাতে যেসব বিকল্প ট্যাবলেট আছে, সেগুলোর মধ্যে ফাইজারের মুখে খাওয়ার ওষুধটি বেশি কার্যকরপ্রায় ৩ হাজার ১০০ রোগীকে অন্তর্ভুক্ত করে পরিচালিত দুটি ট্রায়ালের ফলাফলের ভিত্তিতে প্যাক্সলোভিড নিয়ে নতুন সুপারিশটি করেছে ডব্লিউএইচও।

ট্রায়ালে দেখা গেছে, করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছে প্যাক্সলোভিড।

ডব্লিউএইচওর সুপারিশ অনুযায়ী, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের প্যাক্সলোভিড ওষুধটি দেওয়া যাবে। তবে অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী মায়েদের এই ওষুধ দেওয়া যাবে না।
কম ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদেরও এই ওষুধ না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ, তাঁদের ক্ষেত্রে ওষুধটির সুবিধা যত্সামান্য।

গুরুতর করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ওষুধটি কতটা কাজ দেবে, তা নিয়ে কোনো মতামত দিতে রাজি হননি ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এ ব্যাপারে তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে।

তবে এ ধরনের অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসার সীমাবদ্ধতা আছে বলে উল্লেখ করেছে ডব্লিউএইচও। তারা বলছে, রোগের প্রাথমিক পর্যায়েই শুধু এই ওষুধ দেওয়া যাবে। তার মানে হলো, রোগীদের অবশ্যই দ্রুত করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। করোনা শনাক্ত হওয়ার পরপরই রোগীকে এই ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেবেন চিকিৎসক।

করোনা মহামারির অবসানে মুখে খাওয়ার ওষুধ বাজারে আসার বিষয়টিকে সম্ভাব্য বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, বাড়িতে বসেই এই চিকিৎসা নেওয়া যায়। এর জন্য রোগীকে হাসপাতালে যেতে হয় না।

নিয়ম অনুযায়ী, করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে রোগীকে প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করতে হবে। পাঁচ দিন ধরে তা খেতে হবে।

প্যাক্সলোভিডের দামের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ফাইজারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

 

Post a Comment

Previous Post Next Post