আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং অভিযোগের সত্যতা পান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে গাংনী উপজেলা খাদ্য গুদামের ওসিএলএসডি হাসান সাব্বিরকে তলব করে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। হাসান সাব্বির চাল কিভাবে এখানে এসেছে তার সদোত্তর দিতে পারেননি।তিনি প্রথমত জানান যে, গুদামের শ্রমিকদের খাওয়ার জন্য কয়েকবস্তা চাল দেয়া হয়েছে। সম্ভবত সেই চাল তারা বিক্রি করতে পারে। তবে নানা অযুহাত দেখিয়ে খাদ্য গুদামের শ্রমিকদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজে অস্বীকার করেছেন।
অভিযান চলাকালীন সময়ে চাল ক্রয়ের ভাউচার অনুযায়ী দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে চাল ক্রয় দেখানো হয়েছে। যা অসঙ্গতিপূর্ণ। সরকারী গুদামের চাল কোনক্রমেই খোলা বাজারে বিক্রি করার বিধান নেই। গাংনী খাদ্য গুদামের অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে চাল পাচার করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। অভিযান চলাকালীন সময়ে ইফতারের সময় হওয়ায় জব্দকৃত চাল বাজার কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান স্বপন এর জিম্মায় রাখা হয়েছে। আগামীকাল পুণরায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানা গেছে।