মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনীতে পরস্ত্রীকে শ্লীলতাহানির অপচেষ্টার অভিযোগে ইউপি মেম্বর আসাদুল ইসলাম (৪৮) গ্যাড়াকলে পড়েছে। লাম্পট্যের এই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের অন্তর্গত জুগীরগোফা গ্রামে। নারীলোভী লম্পট আসাদুল ইসলাম জুগীরগোফা গ্রামের মৃত মজিরউদ্দীন মেম্বরের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান,আমরা তুষারের স্ত্রী শিখার নিকট থেকে জানতে পেরেছি যে, সোমবার বিকেলে জুগীরগোফা গ্রামের টারজান বিশ্বাসের ছেলে নেশাখোর তুষারের বাড়ীতে অসৎ উদ্দেশ্যে মেম্বর প্রবেশ করে। এসময় তুষারকে নেশার টাকা দেয়ার আশ্বাস দিলে তুষার তার স্ত্রী শিখা খাতুনকে লম্পটের সাথে লেলিয়ে দিয়ে বাড়িতে রেখে অন্যত্র সময় কাটায়।পরে সুযোগ বুঝে তুষারের সুন্দরী স্ত্রীকে অর্থলোভ দেখিয়ে মেম্বর কুপ্রস্তাব দেয়। কুপ্রস্তাবে রাজী না হলে মেম্বর পরস্ত্রী শিখাকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এক পর্যায়ে শিখা নিজেকে রক্ষা করতে ছলনা করে ওয়াশরুমে যাওয়ার নাম করে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। পরে সে গ্রামের নিকটাত্মীয় সাত্তার হুজুরের বাড়ীতে গিয়ে অবস্থান নেয়। সাত্তার হুজুরের জিজ্ঞাসাবাদে শিখা খাতুন বিস্তারিত খুলে বলে। একপর্যায়ে গ্রামের লোকজন ঘটনা শুনে মেম্বর আসাদুল ইসলামকে জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে আটটিয়ে রাখে। পরে পরিবারের লোকজন সামাজিকভাবে মিমাংসা করার কথা বলে মুচলেকা নিয়ে লম্পট মেম্বরকে ছেড়ে দেয়।ঘটনা ধামাচাপা দিতে এক প্রভাবশালীমহল নানা ভাবে টালবাহানা করছে। গ্রামবাসী সূত্রে আরও জানা গেছে,উক্ত মেম্বর আসাদুল ইসলাম একজন নেশাখোর,মাদকাসক্ত, জুঁয়াড়ী।সম্প্রতি সে জুয়ার আড্ডা থেকে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার সহড়াবাড়ীয়া গ্রামের কামরুল ইসলামের মেয়ে শিখা খাতুনের সাথে মাত্র ৬ মাস আগে জুগীরগোফা গ্রামের টারজান মিয়ার ছেলে তুষারের বিয়ে হয়।
ঘটনার বিস্তারিত জানতে শিখার সাথে আলাপকালে সব জানা যায়। শিখা গণমাধ্যমকর্মীদের আদ্যপান্ত সবকিছু খুলে বলেন। শিখা জানায়, লম্পট মেম্বর আসাদুল ইসলাম আমাদের প্রতিবেশী। এই পরিবারে আমার বিয়ে হয়েছে মাত্র ৬ মাস। বিয়ের পর থেকেই আমার উপর তার লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। আমার স্বামী তুষারও একজন মাদকাসক্ত। সে আসাদ মেম্বরের সাথে ঘুরে বেড়ায়। জুঁয়া খেলে , নেশা করে। আমি প্রতিবাদ করলে সে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। আমাকে লেলিয়ে দিয়ে তুষার বাড়ি থেকে সরে যায়। এই সুযোগে আসাদুল ইসলাম ঘরের দরজা জনালা বন্ধ করে দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে চাই। আমি কৌশলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তুষার এর আগেও নেশার টাকা জোগান দেয়ার নামে তার বন্ধ ঝোরপাড়া গ্রামের নয়ন নামের এক লম্পটকে লেলিয়ে দিয়েছিল। গ্রামে সমাজপতিদেও জানিয়েও কোন বিচার না পেয়ে শিখা খাতুন ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পাশা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এসময় শিখা খাতুনের সাথে তার চাচা জুগীরগোফা গ্রামের আতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এনিয়ে অভিযুক্ত মেম্বর আসাদুল ইসলামের সাথে জানতে চাইলে তিনি সবকিছু অস্বীকার বলে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। তুষার ও শিখা খাতুনের দাম্পত্য কলহ মিটানোর জন্য তুষারের মা আমাকে ফোন দিয়েছিল। আমি ঐ দিন বিকেলে তুষারের বাড়িতে গেলে তুষারের সামনেই পারিবারিক সমস্যা নিয়ে কথাবার্তা হয়। এছাড়া আর কিছুই হয়নি।
এব্যাপারে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, থানায় কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমিরুল ইসলাম অল্ডাম