মেহেরপুরে শিশু সন্তানসহ প্রবাসীর স্ত্রী নিখোঁজ


আমিরুল ইসলাম অল্ডাম ঃ মেহেরপুরে কাকলী খাতুন (২৫) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী শিশু সন্তানসহ নিখোঁজ হয়েছেন। এদিকে সে নিখোঁজ নাকি পরকীয়ার কারণে অন্যের হাত ধরে অজানার পথে পাড়ি জমিয়েছে এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। তবে এ বিষয়ে কাকলীর শ^শুর-শ্বাশুড়ীর পক্ষ থেকে মেহেরপুর সদর থানাকে অবগত করেছেন বলে জানা গেছে। 

সৌদি প্রবাসী স্বামী ডালিম হোসেনের পাঠানো ১ লাখ ১২ হাজার টাকা গত ১৬ মার্চ সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুরের অগ্রনী ব্যাংক  থেকে উত্তোলন করার পর স্ত্রী কাকলী নিখোঁজ হয়।  

জানা যায়,মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের খোকন আলীর ছেলে ডালিম হোসেনের সাথে ৪ বছর আগে বিয়ে হয় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের আজান গ্রামের রহিদুল ইসলামের মেয়ে কাকলী খাতুনের। বিয়ের পর তাদের সংসারে আসে একটি পুত্র সন্তান। যার বয়স বর্তমানে ৩ বছর।এদিকে কাকলীর স্বামী ডালিম হোসেন কর্মের তাগিদে গত ২ বছর আগে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। স্বামীর পাঠানো টাকা প্রায়ই মেহেরপুর শহরের অগ্রনী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতেন কাকলী। গত ১৬ মার্চ কাকলী তার পুত্র সন্তান ও শ্বাশুড়ীকে সাথে নিয়ে মেহেরপুরের একটি ব্যাংক যান। ব্যাংক থেকে ১ লাখ ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। টাকা উত্তোলনের পর কাকলী তার শাশুড়ীকে  সাংসারিক ভোগ্যপন্য কেনার জন্য একটি মার্কেটে পাঠান। এবং মেহেরপুর শহরের একটি মোড়ে অপেক্ষা করছি এমনটি বলেন তার শাশুড়ীকে। শাশুড়ি গুলজান খাতুন মার্কেট থেকে ফিরে কাকলীকে আর খুঁজে পাননি। পরে বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানান। কাকলী নিখোঁজের বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়। 

কাকলীর বাবা রহিদুল ইসলাম জানান আমার মেয়ে কারোর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে পারেনা। টাকার জন্যই তাকে অপহরণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান কাকলীর চলাফেরাতে মনে হয় না যে,কারোর সাথে প্রেমজ সম্পর্কে জড়িয়েছে।

এদিকে কাকলীর স্বামী সৌদি প্রবাসী ডালিম হোসেন মোবাইলফোনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান আমার স্ত্রীকে এখন পর্যন্ত ভালো বলে আমি জানি। তারপরও সে কারোর সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছে নাকি তার কাছে টাকা থাকার কারণে কোন চক্রের হাতে গায়েব হয়েছে বুঝে উঠতে পারছিনা। 

এব্যাপারে গ্রামের মেম্বও মফিজুল ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব আবুল বাসার জানান, আমরা বিষয়টি শুনে উভয়পক্ষের সাথে বসে করণীয় বিষয়  নিয়ে আলাপ করেছি। এখন গাংনীতে একটি জিডি করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এনিয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক  জানান, আমি এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 


আমিরুল ইসলাম অল্ডাম

মেহেরপুর


Post a Comment

Previous Post Next Post