মেহেরপুরে ২ বছর পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

 


আমিরুল ইসলাম অল্ডাম  ঃ মারা যাওয়ার ২ বছর পর মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার  চাঁন্দামারী গ্রামের একটি কবর থেকে আসাদুজ্জামান (৪০) নামের এক যুবকের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদাত হোসেনের উপস্থিতিতে পুলিশ তার লাশ উত্তোলন করে। 

সোমবার সকাল ১১টার দিকে চাঁন্দামারী গ্রামের একটি কবর স্থান থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান,চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল মাস্টারের ছেলে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি আসাদুজ্জামানের বিয়ে হয় পার্শ^বর্তী গ্রামের মোনালিসা ওরফে রুপার সাথে। 

বিয়ের পর তাদের সংসারে জন্ম নেয় ৩ সন্তান।  রুপা একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। আসাদুজ্জামান একটি ঔষধ কোম্পানীর চাকরীর সুবাদে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বসবাস করতেন।

২০২০ সালের ২৭ মার্চ আসাদুজ্জামান হঠাৎ মারা যান। ওই সময় স্ত্রী রুপা জানিয়েছিলেন তার স্বামী স্ট্রোকে মারা গেছেন। পরে তার মরদেহ চুয়াডাঙ্গার ভাড়াবাড়ি থেকে নিজ গ্রাম হাপানিয়ায় নেয়া হয়। এবং হাপানিয়া গ্রামের কাছাকাছি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের চাঁন্দামারী গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।

 দাফনের পর আসাদুজ্জামানের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হয় তার বাবার পরিবারের সদস্যদের। আসাদুজ্জামানের স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে তার প্রেমিকের সহযোগিতায় আসাদুজ্জামানকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর তার ভাই লিটন আলী বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে মোনালিসা ওরফে রুপা ও তার প্রেমিক নরসিংদী জেলার হুমায়ুন কবীরকে আসামী করে মামলা করেন। মামলার পরে পুলিশ প্রেমিক হুমায়ুনকে আটক করে। আসাদুজ্জামানকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আটকের পর আসামী হুমায়ুন আদালত তার দোষ স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার কবর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।


 



Post a Comment

Previous Post Next Post