বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে একাত্তরের স্মৃতিকথা :মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

 



খুলনা প্রতিনিধি : আজ কুয়েট মিলনায়তনে খুলনা মহানগর ও জেলার ৫১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়ছবি: প্রথম আলো

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে একাত্তরের স্মৃতিকথা রেকর্ড করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম যেন স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পারে, সে জন্য উদ্যোগ। একসময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না। কিন্তু তাঁদের কণ্ঠের এই রেকর্ড যুগ যুগ ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়বে

আজ রোববার খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কথা বলেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী মুজিব বর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে কুয়েট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এদিন খুলনা মহানগর জেলার ৫১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়নের যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, এ ধারা ধরে রাখতে হলে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বড় করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২৯ বছর দেশটা পেছন দিকে হেঁটেছে। দেশে গত এক দশকে যে উন্নয়ন হয়েছে, আগের ৩০ বছরে তা হয়নি। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশে উন্নীত হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বীর

মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা-বোনাস বাড়ানো হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান, বধ্যভূমি ইত্যাদি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সচেতন, সক্রিয় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করতে হবে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এই দেশ আবারও পরাজিত শক্তির হাতে চলে যাক, এটা আমরা চাই না

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শ্রম কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কাজী সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ

 


Post a Comment

Previous Post Next Post