ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াইয়ে মালির আট সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। চার সেনাসদস্য এখনো নিখোঁজ। পরে বুরকিনা ফাসোর কাছে ত্রিদেশীয় সীমান্ত এলাকায় সেনা অভিযানে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ৫৭ সদস্য নিহত হন। মালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক
সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা এসব তথ্য জানিয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে মালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের
বিবৃতিতে বলা হয়, বুরকিনা ফাসো ও নাইজার সীমান্তের কাছে আরকাম অঞ্চলে অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীরা সেনাসদস্যদের
লক্ষ্য করে হামলা চালায়। হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে ছিল।
এক সপ্তাহে এ অঞ্চলের প্রায় ৪০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। অঞ্চলটিতে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসসহ বেশ কিছু প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। স্থানীয় সূত্রের বরাতে আল–জাজিরা বলেছে, বেসামরিক নাগরিকেরা এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি অনুগত বলে মনে করা হয়ে থাকে।
মালির
ক্ষমতাসীন সেনা সরকার শুক্রবার তাদের ভূখণ্ড থেকে অবিলম্বে ফ্রান্সের সেনা
প্রত্যাহার করতে বলার পর মালির সেনাসদস্যদের ওপর এ হামলা হলো।
২০১২
সালে তুয়ারেগ বিদ্রোহী ও অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মালির উত্তরাঞ্চলের দুই-তৃতীয়াংশ
দখল করে নেয়। তখন থেকে দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে লড়াই করছে মালি সরকার। ২০১৩
সালে সশস্ত্র গোষ্ঠীকে মোকাবিলায় মালিতে সেনা মোতায়েন করে সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি
ফ্রান্স। তবে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মরুভূমিতে নতুন করে সংগঠিত হয়ে সেনাবাহিনী ও
বেসামরিকদের ওপর নিয়মিত হামলা চালাতে থাকে। বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে তৎপরতা শুরু
করে তারা।
অঞ্চলে ফ্রান্সের প্রায় ৪ হাজার ৩০০ সেনা রয়েছে। এর মধ্যে মালিতে নিয়োজিত আছেন ২
হাজার ৪০০ জন। ফ্রান্সের তথাকথিত বারখানে বাহিনী চাদ, নাইজার, বুরকিনা ফাসো ও
মৌরিতানিয়াতেও মোতায়েন রয়েছে।গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্স ও দেশটির আফ্রিকান ও ইউরোপীয়
মিত্রদের স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, মালির
ক্ষমতাসীন সেনা সরকার ‘বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা’ তৈরি করে রাখায় দেশটিতে কার্যক্রম
চালিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি আর নেই।
ডিসেম্বরে রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপের সদস্যদের মোতায়েনের অনুমতি দেওয়ায় ফ্রান্স ও
১৫টি ইউরোপীয় দেশ মালি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছিল। ওয়াগনার গ্রুপের
বিরুদ্ধে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, লিবিয়া ও সিরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ
রয়েছে।