মেহেরপুরের গাংনীতে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে সহোদরদের উচ্ছেদের অভিযোগ

 

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম  : মেহেরপুরের গাংনীতে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে সহোদর ভাইদের ওয়ারিশদের জমি না দিয়ে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছ্ ে। দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ পৈত্রিক জমিতে বসবাস করলেও ছোট ভাই মারা যাওয়ার সুযোগ সন্ধানী ভাই হযরত আলী ওরফে মন্টু ও তার মেয়ে নাহার নাছরিন হীরা মিথ্যা স্বত্ত¡ দাবি  করে উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে। এমন ভূমি জবরদখলের ঘটনা ঘটেছে উপজেলার  জোড়পুকুরিয়া গ্রামে। 

আলমের মেয়ে নাজমুন্নাহার ও জামাতা জাহিদ হোসেনের লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, জোড়পুকুরিয়া গ্রামের ২০৬ নং খতিয়ানে একাধিক দাগে সর্বমোট ৮-৪০ শতক জমির মালিক  মৃত ্অ্যালবার্ট মন্ডলের ৪ ছেলে যথাক্রমে মুত আব্দুল কাদের, মৃত হারেজউদ্দীন, হযরত আলী ওরফে মন্টু ও সাইফুল ইসলাম আলম ও ২ কন্যা সন্তানের নামে রেখে যান।  উক্ত জমির মধ্যে বাড়ি ও  ভিটা শ্রেণির ১০২৩, ১০২২ দাগে যথাক্রমে ৩০ ও ২৯ শতাংশ জমি রয়েছে। পাশাপাশি দাগে পারিবারিক কবরস্থান  এবং ফলজ গাছপালা রয়েছে। উক্ত ফলজ গাছের ফলফলাদি অন্যান্য ভাইদের ওয়ারিশগন ভোগদখল করে আসছে।  এমনকি বাড়ির সামনে অবস্থিত জলাকার পুকুরে প্রায় ৩০-৩২ বছর যাবৎ একসাথে হযরত আলী ও ছোট ভাই আলম মাছ চাষ কওে আসছিলেন। পুকুর খনন, মাছ চাষ, পুকুর লিজ দেয়া, টাকা ভাগাভাগি সবই একসাথে চলছিল। একপর্যায়ে ছোট ভাই মারা গেলে ঠকবাজ,ধূর্ত স্বার্থান্বেষী ভাই হযরত আলী মন্টু গ্রামের মাতব্বরদের এবং পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে  পুকুর থেকে ছোট ভাইয়ের ৩ কন্যা সন্তান শরীকদের উচ্ছেদে  মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমরা ইতোমধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি),থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপার মহোদয় বরাবর অভিযোগ দায়ের করলেও  ১ মাস অতিবাহিত হলেও অদ্যাবধি সুষ্ঠু তদন্ত বা সমাধান পাইনি। 

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, হযরত আলী একজন স্বার্থবাদী, মিথ্যুক। পৈত্রিক সম্পত্তি গ্রাস করতে অন্যান্য ভাই বোনদের  ফাঁকি দিয়ে নিজের মনমত বন্টননামা করে দখল করে আসছে।বর্তমানে  উক্ত জমিতে পারিবারিক কবরস্থান থাকায় তিনি  ওয়ারিশ হিসাবে সেই জমি না নিয়ে ছোট ভাইকে দিতে চাই। পক্ষান্তরে মাছ চাষের পুকুরটি গ্রাস করতে চাই।  এব্যাপারে  হযরতের  প্রতিবেশী  গ্রামের আব্দুস সামাদ, নজরুল ইসলাম , খেলাফত আলীসহ একাধিক লোকজন জানান,  হযরত আলী একজন ঠক, প্রতারক, জালিয়াত।  গ্রামবাসিরা আরও জানান, এখনও বাড়ির জমিতে অবস্থিত গাছপালা পুকুর সকল ভাইদের  ওয়ারিশগন ভোগ করেন। অথচ  জালিয়াত হযরত আলী   গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মদদে  জবর দখলের হীন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।আমরা পুকুরের নিকট গেলে মারধর করা ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস  করছি। আরও জানা যায়, বাড়ি থেকে রাস্তায় যাতায়াতের জন্য  মাটি ভরাট করতে গেলে  থানা পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মাটি ভরাটে বাধা সৃষ্টি করেছে।

এব্যাপারে অভিযুক্ত হযরত আলীর সাথে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার  করে বলেন, অল্প কয়েকবছর হলো আমার ছোট ভাইকে মানবিক কারনে মাছ দিয়েছিলাম এবং একসাথে ছিলাম। বর্তমানে আমি বন্টননামা অনুযায়ী  আমার দখলীয় সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করেছি। আমাদের পারিবারিক  এই সমস্যা  সমাধানে গ্রামে সামাজিকভাবে একাধিকবার বসা হয়েছে। এমনকি গাংনী থানাতেও সালিশ মিমাংসা হয়েছে। কিন্তু চুড়ান্ত ফয়সালা হয়নি।              



আমিরুল ইসলাম অল্ডাম 

মেহেরপুর 

তাং-২৫-০২-২২ ইং

মোবাঃ ০১৭১৭-০০৮৩৫৫


Post a Comment

Previous Post Next Post