স্টাফরিপোটার ঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের হোগলবাড়ীয়া গ্রামের মালিথাপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মাঠে প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষে ছাদেক আলী (৬২) নামের একজ কে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। একই সময়ে উভয় পক্ষের ৭ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এদের মধ্যে মৃত রমজান আলীর ছেলে বাদল হোসেন (৫৮) নামের আরও একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় মাঠে জমি দখল নিতে গেলে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাটি ঘটেছে।আহতদের মধ্যে রয়েছে, ছাদেক আলীর ছেলে রিমু হোসেনম(২৪), ছাদেক আলীর ভাতিজা বাবুর ছেলে ইছা (৩২), মৃত আখের আলীর ছেলে (পশু ডাক্তার) কাবাতুল্লাহ (৪০), জেল হকের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (৩৫), ইসারুল হক (৩৫), ইদবার আলী (২৮)।আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুই সন্তানের জনক ছাদেক আলী হোগলবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আফেলউদ্দীনের ছেলে। এদিকে প্রতিপক্ষ হামলাকারীরা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, হোগলবাড়ীয় গ্রামের ক্লাব পাড়ার নিকটবর্তী মালিথাপাড়ার মাঠে হিন্দু আমলের প্রায় ২৫/৩০ বিঘা জমি নিয়ে গ্রামের আব্দুল গাফ্ফার ও মতিয়ার রহমানের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। ছাদেক আলী দীর্ঘদিন যাবৎ ঐ জমি গুলো আবাদ করে আসছিল।হিন্দু সম্পত্তি ভূয়া কাগজ পত্র করে দথল নেয়ার পায়তারা চালিয়ে আসছে মতিয়ার গং ও গাফ্ফার গং। জমি নিয়ে মাঝে মধ্যেই ঝগড়াঝাটি ও কথাকাটি হয়ে থাকে।আজ সকালে ছাদেক আলী তার লোকজন নিয়ে মাঠে কাজ করতে গেলে মতিয়ার ও খাইরুল ইসলামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাদেক আলীকে কুপিয়ে ঘটনাস্থালেই হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এদিকে পুলিশ ছাদেক আলীর লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর মর্গে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । দোষীদের আটক করতে পুলিশ মাঠে নেমেছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল ইসলাম, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরকার, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল রাজ্জাক।
আমিরুল ইসলাম অল্ডাম