ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানের একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা
হয়েছে। পুলিশ বলেছে, তিনি ১৫ বছর ধরে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। ওই ব্যক্তি পবিত্র
কোরআনের পৃষ্ঠা পুড়িয়েছিলেন। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের খানেওয়াল জেলায় এ ঘটনা
ঘটে। বিবিসির
খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে এটাই সর্বশেষ ব্লাসফেমিসংক্রান্ত ঘটনা। গণপিটুনিতে ওই
ব্যক্তি মারা গেছেন। দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কমপক্ষে ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওই
ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয় জানা যায়নি। তাঁর মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, যথাযথ আইন প্রয়োগ করে এই ঘটনার বিচার করা হবে। এ ছাড়া ওই ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারায় পুলিশের গাফিলতির বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন চেয়েছেন তিনি।
ইমরান খান বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সরকার ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অনুসরণ করছে।
এদিকে এ ঘটনার পর পুলিশের কর্মকর্তা মুনাওয়ার হোসাইন বলেন, ওই ব্যক্তির বয়স ৪০-এর কোঠায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে, ওই ব্যক্তিকে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এবং তিনি অচেতন ছিলেন। যে খানেওয়াল জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে, সেটি লাহোর থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দূরে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গ্রামবাসী লোহার রড, কুঠার ও লাঠিসোঁটা নিয়ে
ওই ব্যক্তির ওপর হামলা চালায়।
খানেওয়াল জেলার তুলাম্বায় ওই ঘটনা ঘটে। সেখানকার থানার পুলিশ কর্মকর্তা মুনাওয়ার গুজজার বলেন, ওই ব্যক্তি ১৫ বছর ধরে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে এমন পিটিয়ে হত্যার ঘটনা এই প্রথম নয়। দুই মাস আগে পাঞ্জাবের শিয়ালকোট শহরে শ্রীলঙ্কার এক নাগরিককে পিটিয়ে এবং তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যা করা হয়।
পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইন কঠোর। কেউ ইসলাম ধর্ম অবমাননা করছেন, এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। তবে সমালোচকেরা বলে থাকেন, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এই আইন ব্যবহার করা হয়।