মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি ঃ মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের ছাগল ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন হত্যার সাথে জড়িত দুসম্পর্কের জামাই লিটনকে আটক করেছে পুলিশ। লিটন পার্শ্ববর্তী তেরোঘরিয়া গ্রামের আসাদ আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হরিরামপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে লিটনকে আটক করে পুলিশ। গত সোমবার সকালের দিকে একটি মাঠ থেকে তোফাজ্জেল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, তোফাজ্জেল রবিবার দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে বাইরে গিয়েছিলেন। গভীর রাত পর্যন্ত সে বাড়ি না আসায় তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করে। পরের দিন সোমবার সকালে কৃষকরা মাঠে গিয়ে দেখে তোফাজ্জেল হোসেনের গলাকাটা লাশ পড়ে রয়েছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়,তোফাজ্জেলের কাছে ব্যবসার জন্য রাখা বেশ কয়েক হাজার টাকা ছিল। টাকার জন্য তার ব্যবসার পার্টনার জামাই লিটন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান,তোফাজ্জেল হোসেনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। তার দুটি চোখ উপড়ে ফেলেছে। এমনকি শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করেছে । লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আটক করতে পুলিশের একাধিকদল মাঠে নেমে সন্দেহভাজন লিটনকে আটক করা হয়। লিটন কে জিজ্ঞাসাবাদে সব তথ্য পুলিশকে দিয়েছে। টাকার লোভে ম্বশুরকে ডেকে নিয়ে একটি দোকানে বসে চায়ের সাথে ঘুমের বড়ি খাওয়ায়। একপর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে বাড়িতে পৌছে দেয়ার নাম করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা কওে ফেলে রেখে যায়।