স্টাফরিপোটার ঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের অন্তর্গত কসবা, ভাটপাড়া, খড়মপুর, মহিষাখোলা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছেউটিয়া নদীর পাড় কেটে অবৈধভাবে ধানের বীজতলা প্রস্তুত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গ্রামের প্রভাবশালীরা সম্প্রতি খননকৃত ছেউটিয়া নদীর পাড় কেটে জবরদখলের পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনভাবে ব্রিজের নিচের মাটি কাটা হলে অচিরেই ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, কসবা-ভাটপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বে ভাটপাড়া খড়মপুর গ্রামের সংযোগ সেতু (ব্রিজ) অবস্থিত । উক্ত ব্রিজের নিচে উভয় পার্শ্বের নদীর পাড় কেটে পাট জাগ দেয়া এবং ধানের বীজতলা (চারা) প্রস্তুত করা হচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নদীর পাড় রক্ষার্থে ইতোমধ্যেই নদীর দুই পাশে গাছের চারা রোপন ও উপর থেকে নদীতে পানি গড়ানোর জন্য মাঝে মাঝে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এসব কিছু দেখেও ভাটপাড়া গ্রা,েমর রহিম বক্সেও ছেলে আলী কদও, মুত আলীমউদ্দীন জোয়ার্দ্দারের ছেলে ইসাহক, রহিম বক্সেও ছেলে হুদা, আফছার বক্সের ছেলে আব্দার আলী, আরমানের ছেলে রহিম ও ইদ্রিস আলী , খবিরউদ্দীনের ছেলে আসমত আলী, খড়মপুরের আব্দুল হান্নানসহ অনেকেই নদীর পাড় কেটে ধানের বীজতলা করে নদীর গতিপথ বাধাগ্রস্থ করছে। অভিযোগে আরও জানা গেছে, ভাটপাড়া গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অদূরে রিপন ইটভাটার স্বত্বাধিকারী ভাটামালিক রিপন এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নদীর পাড় কেটে রাস্তা তৈরী করে মাটি ভাটায় ট্রাক্টর ও ট্রলিতে ভরে নিয়ে যাচ্ছে। গ্রামের কয়েকজন প্রভাবশালী নদীর পাড়ের মাটি ইটভাটায় বিক্রি করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ , তারা নিষেধ করের নদীর পড় কাটা রোধ করতে পারছেন না। এক্ষণে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। উপজেলা ও জেলা প্রশাসন অবিলম্বে সরেজমিন পরিদর্শন করে নদীর পাড় রক্ষা ও দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন এমনটাই প্রত্যাশা এলাকার সচেতন মহলের।