বি এম রাকিব হাসান, খুলনা: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোনোভাবেই থামছে না ওষুধ চুরি।প‚র্বে কয়েকবার পৃথক ঘটনায় হাতেনাতে এসকল ওষুধ পাচারকারীরা আটক হলেও এই সিন্ডিকেটের ম‚লহোতারা থেকে যাচ্ছে পর্দার আড়ালে। কে বা কারা এই ওষুধ পাচারের মুলে রয়েছে, তা নিয়ে যেন কাটছে না ধোয়াশা।
১৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সী অপারেশন থিয়েটারে মজুদ করা বিপুল পরিমান ওষুধসহ একজনকে আটক করা হয়। আটককৃত মোসাম্মৎ মনিরা বেগম হাসপাতালটির আউটসোর্সিং কর্মচারী। আটকের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তানুযায়ী মনিরা বেগমকে বরখাস্ত করা হয়।
জানা যায়, মনিরা বেগম ডিসপোসাল নরমাল স্যালাইন নিয়ে জরুরী বিভাগ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আনসার সদস্য মোঃ জাকির হোসেনের দৃষ্টিগোচর হয়। হাতেনাতে আটক করার পর মনিরার স্বীকারোক্তি নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।স্বীকারোক্তিতে পাওয়া যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য।তথ্য অনুযায়ী হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ রবিউল হাসানের নির্দেশে জরুরী বিভাগের ইমার্জেন্সী অপারেশন থিয়েটারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১০-১২ কার্টুন পরিমান ওষুধ জব্দ করা হয়। এর মধ্যে পাওয়া যায় চেতনানাশক ইনজেকশন, হেক্সিসলসহ সব দামি ওষুধপত্র।
এবিষয়ে হাসপাতালের আর এম ও সুহাস রঞ্জন হালদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালে ওষুধ পাচারের ঘটনায় পরিচালক মহাদয়ের নির্দেশনায় ওটি কক্ষে অভিযান চালানো হয়।এখানে বেশ কিছু বেসরকারী ঔষধ জব্দ করা হয়েছে।যার মধ্যে চেতনানাশক ও চেতনাফেরার ইনজেকশন, হেক্সিসলসহ বেশ কিছু দামি ওষুধ পাওয়া গেছে। তবে এগুলোর মধ্যে কোনো সরকারী ওষুধ পাওয়া যায়নি।
ওষুধ পাচারের সাথে জড়িত সকল ব্যাক্তিদেরকে খুজে বের করতে সহকারি অধ্যাপক ডা: দিলীপ কুমার পালকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প‚র্বে কয়েকবার সরকারি ও বেসরকারী ওষুধ চুরির ঘটনা ঘটলেও এ চক্রের ম‚লহোতারা থেকে যায় ঘটনার অন্তরালে। সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এচক্রের মাস্টারমাইন্ডকে খুজে পেলেই এঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না বলে মনে করছেন অপরাধ বিশ্লেষকেরা।