মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনীতে ভবানীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপির বিরুদ্ধে মহিলাকে শ্লীলতাহানির অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছ্ ে। আজ রবিবার দুপুরের দিকে উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ভবানীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে এঘটনা ঘটে। ঘটনা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে অবস্থা বেগতিক দেখে ডাক্তার আমিরুল ইসলাম কৌশলে পালিয়ে যায়।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,ভবানীপুর গ্রামের এক গৃহবধূ তার অসুস্থ শিশুকে নিয়ে বাড়ীর অদূরে ক্লিনিকে ওষুধ নিতে গেলে একা পেয়ে সিএইচসিপি আমিরুল ইসলাম শিশুর ওষুধ না দিয়ে মা শ্যামলীকে ষ্ট্যাথিষ্কোপ দিয়ে পরীক্ষা শুরু করে।মহিলার হার্টে সমস্যা রয়েছে বলে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে নারীলোভী ক্লিনিক চিকিৎসক গৃহবধূর গোপনাঙ্গে এবং স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় । গৃহবধূ শ্যামলী খাতুন ডাক্তারের ব্যবহারে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও ডাক্তার ভয়ভীতি দেখায়। পরবর্তীতে শ্যামলী খাতুন বাড়ি গিয়ে তার স্বামী সবুজকে ঘটনা জানায়।
সরেজমিনে ঘুরে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ভবানীপুর গ্রামের ফকিরপাড়ার দিনমজুর সবুজ আলীর স্ত্রী ২ সন্তানের জননী শ্যামলী খাতুন জানায়, দুপুরে কমিউনিটি ক্লিনিকে শিশুর জন্য ওষুধ আনতে গেলে ক্লিনিকের সিএইচসিপি আমিরুল ইসলাম শরীর পরীক্ষার নামে গোপনাঙ্গে হাত দেয়।সে আরও জানায়, ৩/৪ মাস আগেও ঐ ডাক্তার রুপী শয়তান শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। গ্রামের একাধিক পরিবারের মহিলারা একই অভিযোগ উপস্থাপন করেন। গ্রামের একাধিক সুত্রে আরও জানা গেছে, কাজীপুরের ক্লিনিকে থাকতেও তার বিরুদ্ধে নানাভাবে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে। এরকম চরিত্রহীন লোক ক্লিনিকে থাকলে কেউ ক্লিনিকে যাবে না। তাই অবিলম্বে লম্পট আমিরুল ইসলামকে অপসারণের দাবি তুলেছে গ্রামবাসি।
এনিয়ে গ্রামের জন প্রতিনিধি রেজাউল হক জানান, আমাদের কাছে মাঝে মে ধ্য এরকম অভিযোগ আসে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এর আগ্ওে নিষেধ করেছি। এ ব্যাপারে সঠিক তদন্তকরে বিচার হওয়া দরকার।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সিএইচসিপি আমিরুল ইসলামের সাথে কথা বলা হলে সে প্রথমত অস্বীকার করেন। তিনি বলেন এঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ওষুধ দিতে পারিনি বলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. শাওনকে জানানো হলে তিনি কিছু করতে পারবেন না বলে জানান। অবশেষে তিনি থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেন।
আমিরুল ইসলাম অল্ডাম