স্টাফ রিপোর্টার: ২০২০ সালের মে মাসে লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যা ও মানবপাচারের ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় ৪১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আছলাম আলী। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, সমপ্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আছলাম আলী। চার্জশিটে ৪১ জনকে অভিযুক্ত করার পাশাপাশি ৫ জনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- তানজিদ ওরফে তানজিমূল ওরফে তানজিরুল, জোবর আলী, জাফর মিয়া, স্বপন মিয়া, মিন্টু মিয়া, শাহিন বাবু, আলী হোসেন, আমির হোসেন, নজরুল মোল্ল্লা, আ. রব মোড়ল, সজীব মিয়া, মুন্নী আক্তার রূপসী, রবিউল মিয়া, রুবেল শেখ, আসুদুল জামান, বাহারুল আলম, নাজমুল হাসান, হেলাল মিয়া, কামালউদ্দিন, কামাল হোসেন, রাশিদা বেগম, নুর হোসেন শেখ, ইমাম হোসেন শেখ, আকবর হোসেন শেখ, বুলু বেগম, জুলহাস সরদার, দিনা বেগম, শাহাদাত হোসাইন, জাহিদুল আলম, জাকির মাতুব্বর, লিয়াকত আলী শেখ, নাসির বয়াতী, রেজাউল বয়াতী, হাজী শহীদ মিয়া, খবির উদ্দিন, পারভেজ হাসান, কামছার মুন্সি, মাহাবুব মুন্সি, পারভেজ আহমেদ, নজরুল ইসলাম সুমন ও কাউসার। অব্যাহতি পাওয়া আসামিরা হলেন- শেখ মো. মাহাবুবুর রহমান, শেখ সাহিদুর রহমান, সাদ্দাম, কুদ্দুস বয়াতি ও লালন। গত বছরের ২৮ মে লিবিয়ার মিজদা শহরে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আহত হন ১২ জন। বাংলাদেশি একটি দালালচক্র ইউরোপ নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে করোনার মধ্যেই তাদের লিবিয়া পাঠায়। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে তাদের ইতালি নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু লিবিয়াতে পাচারকারী স্থানীয় একটি চক্র তাদের আটকে মারধর করে মুক্তিপণ দাবি করে। এই নিয়ে মানবপাচারকারীদের সঙ্গে অভিবাসীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন পাচারকারীর মৃত্যু হয়। এরপর ক্ষোভে নির্বিচারে গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জনকে হত্যা করা হয়।