আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাবুলের সিংহাসন থেকে তালেবানকে হটানো হয়েছিল ২০০১ সালে। দীর্ঘ ২০ বছর আগ্রাসনের পর যুক্তরাষ্ট্র দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আবারও দৃশ্যপটে তালেবান। ক্ষমতা বুঝে নেওয়ার অপেক্ষায় আছে তারা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি দেশ। এ তালিকায় চীন ও রাশিয়ার মতো পরাশক্তিগুলো ছাড়াও রয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান ও তুরস্কের নাম।
তবে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, এখনই তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে না পাকিস্তান। আগে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করবে ইসলামাবাদ। তার পর সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির সরকার।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার আফগান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিল পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে দেশটির তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, ‘আফগানিস্তানে যখন প্রথমবারের মতো তালেবান সরকার গঠন হয়েছিল তখন তাদেরকে সবার আগে স্বীকৃতি দেওয়া তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান ছিল একটি। তবে এবার তালেবান সরকারকে এখনই স্বীকৃতি দেবে না পাকিস্তান। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে পাকিস্তান। পাশপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করবে। তাদের পরামর্শ নেওয়া হবে।’তবে রক্তপাত ছাড়াই কাবুলে ক্ষমতার পালা বদল ঘটনায় পাকিস্তান সরকার বেশ খুশি বলে জানান ফাওয়াদ চৌধুরী।
এর আগে তালেবানে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রোববার তালেবানের বিজয়ের পর ইমরান খান বলেছিলেন, আফগানিস্তানে এখন যা ঘটছে, তাতে তারা (তালেবান) দাসত্বের শেকল ভেঙে দিয়েছে।এদিকে তালেবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার জন্য প্রস্তুত চীন। গত সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং সাংবাদিকদের বলেন, আফগান জনগণের নিজেদের লক্ষ্য নির্ধারণের স্বাধীন অধিকারকে চীন সম্মান জানায়। চীন আফগানিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক করতে প্রস্তুত।
তবে তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবে রাশিয়া- এমনটিই বোঝা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তালেবানের প্রশংসায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি ঝিরনভ বলেছেন, তালেবানের অধীনেই কাবুলকে বেশি নিরাপদ মনে হচ্ছে।
মস্কোর ইখো মস্কভি রেডিও স্টেশনের সঙ্গে কথোপকথনে সোমবার ঝিরনভ বলেছেন, এখন পর্যন্ত তালেবান যে আচরণে করেছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট। তালেবানদের মনোভাব ভালো, ইতিবাচক ও যথাযথ।’
তথ্যসূত্র: ডন, আলজাজিরা