আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা খাদ্য গুদামে নিম্নমানের পচা চাল সংরড়্গণ ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ভিজিডি,ভিজিএফ কার্ডধারীদের মাঝে খাবার অযোগ্য চাল বিতরণ ও সরবরাহের অভিযোগে উপজেলা খাদ্য শস্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সদস্যবৃন্দ খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ্ইউপি চেয়ারম্যান ও উপকারভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা খাদ্য শস্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন,গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ ও উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবউদ্দীন আহম্মেদ গুদাম পরিদর্শনে আসেন এবং অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। এসময় খাদ্য গুদামের ওসিএলএসডি হাসান সাব্বির উপসি’ত ছিলেন।
ওসিএলএসডি সাব্বির জানান, আমি নতুন জয়েন করেছি। আমার আগের কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান আমাকে জানিয়েছিলেন, করোনাকালীন খাদ্য শস্য সংরড়্গণ করতে জরম্নরীভাবে কিছু নিম্নমাানের চাল ক্রয় করতে হয়েছিল। কারন বিগত আগষ্ট সেপ্টেম্বর মাসে সরকারী নির্দেশে আমরা ৩৬ টাকা দরে নিম্নমানের চাল ক্রয় করেছি। কারন সে সময় খোলা বাজাওে চালের দাম ছিল ৪২-৪৪ টাকা । তাই আমরা বাধ্য হয়ে নিম্নমানের চাল ক্রয় করে গুদামজাত করেছিলাম। বর্তমানে সেইচাল নষ্ট হয়ে গেছে। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে অবহিত করেছি।
এনিয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, আমি ্ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে নিম্নমানর চাল সরবরাহের অভিযোগ পেয়েছি। আমি সংশিস্নষ্ট খাদ্য বিভাগকে জানিয়েছি। বিষয়টি সুরাহা করার জন্য। আমি এবিষয়ে কি করণীয় সেটা আলোচনা সাপেড়্গে সিদ্ধানত্ম নেয়া হবে।
এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক জানান,ইউপিচেয়ারম্যান ও দলীয় নেতা কর্মীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এর সাথে কারা জড়িত খুজে বের করা হবে। এইি পচা এবং খাবার অনুপযোগী চাল সরবরাহ করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে।
সর্বোপরি মাননীয় এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন দুটি খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে স’ানীয় সাংবাদিকদের জানান, এটি অমার্জনীয় অপরাধ্। আমার কাছে এমনও অভিযোগ রয়েছে, চাল সরবরাহ করার সময় বসত্মায় ২ কেজি কওে কম দেয়া হয়ে থাকে। পরবর্তীতে চাল বিতরণের দিন আমি সার্বড়্গণিকভাবে থাকবো। পচা ও নষ্ট চাল গুদামে সংরড়্গণ ও বিতরণ করে এই খাদ্য কর্মকর্তা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। জড়িতদেও বিরম্নদ্ধে কি শাসিত্মমূলক ব্যবস’া নেয়া যায় সেব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা প্রাঙ্গনে অবসি’ত গুদাম নং-১ এর ৯ নং লটের ৭৮.৭৮৬ মে,ট্রন সমসত্ম চাল-ই খাবার অনপযোগী, পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত। পরিদর্শনের প্রথমেই শিশিরপাড়া মোড়ে অবসি’ত ৩ নং গুদামের ৭ নং লটের ১৫৪.৮৬০ মে.ট্রন সমসত্ম চাল নষ্ট দেখা গেছে। খাদ্য গুদামে কিভাবে পচা চাল সংগ্রহ করা হলো এবং কিভাবে পচা চাল ইউনিয়ন সচিবদে মাধ্যমে ভিজিএফ কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করা হলো এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান গুদামের ওসিএলএসডি হাসান সাব্বির।