ছবি: বিএম রাকিব হাসান
বিএম রাকিব হাসান, খুলনা ব্যুরোঃ– করোনাাভাইরাস মহামারির মাঝেও সারা বিশ্বজুড়েই মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম সাধনা ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ সন্তুষ্টি লাভের আনন্দের মহিমায় উজ্জীবিত।
পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে গত বুধবার। এর আগে থেকেই খুলনায় সব ধরনের সবজি কেজি প্রতি ৫ থেকে ৪০ টাকা দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচ ও বেগুনের দাম।
শুক্রবার ( ১৬ এপ্রিল) তৃতীয় রমজানে মহানগরীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এদিকে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
করোনাভাইরাসের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অর্থনীতির প্রভাব রাজধানীবাসীর মধ্যেও পড়েছে। নগরবাসীর অর্থনৈতিক টানাপোড়নের মধ্যেই গত সপ্তাহে বেড়েছে আলু, পটল, করলা, টমেটো, শিম, লাউ, কাঁচা-পাকা মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়স, বেগুন, লাল শাক, লাউ শাকসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল সবজির দাম। আবার দাম বাড়লেও বাজারে কোনো সবজির কমতি নেই।
এদিকে দাম বেড়ে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ১০০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৯০ টাকা, সাদা/সবুজ বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্রতিকেজি শসা ৮০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা এবং আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির এমন দামে ক্রেতাদের মধ্যেও কিছুটা অস্বস্তি বিরাজ করছে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে অনেক সবজি পৌঁছাতে পারছে না। ফলে দাম বেড়েছে। তবে সরবরাহের সমস্যা না থাকলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বাজার করতে আসা মুজগুন্নীর বাসিন্দা রুমানা আক্তার (রানু) বলেন, ‘প্রতিবার রমজান এলেই কোনো কারণ ছাড়াই সবজির দাম বেড়ে যায়। সবজির কোনো কমতি নেই। বাজারে লকডাউনের কোনো প্রভাবও নেই। সেই হিসেবে সব সবজিরই দাম কমার কথা। কিন্তু বাজারে এসে দেখি সব কিছুরই দাম বেড়ে গেছে। কোনো রকম অজুহাত পেলেই দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।
এদিকে, বাজারে মুরগির দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকায়, লেয়ার ২৪০ টাকায় এবং সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়।