ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ায় নাশকতা চালাতে পারে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট(আইএস)। এমনটাই সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ।
জানা গেছে, ভারতীয় উপমহাদেশে আইএসের দায়িত্ব নিয়েছে শিহাব-আল-মুহাজির। এ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে গুতেরেস জানিয়েছেন, ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে মুহাজিরের। আগে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে সক্রিয় ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আগে যোগাযোগ ছিল তার। বর্তমানে আইএস-কে’র নেতা হয়েই ভারত, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার উপর নজর দিচ্ছে সে।
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে হাজার দু’য়েক আইএস-কে জঙ্গি রয়েছে। সেখানে তাদের প্রশিক্ষণ চলছে। যে কোনও সময় তারা ভারত-সহ প্রতিবেশী দেশগুলিতে হামলা চালাতে পারে।
জঙ্গি সংগঠনটির শক্তি নিয়ে মহাসচিবের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরাক ও সিরিয়ায় জমি খুইয়ে এখন অনেকটাই কোণঠাসা আইএস। তবে এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী সংগঠনটি। তাদের হালকা ভাবে নেওয়া উচিত হবে না। গত মে মাসে কাবুলের হাসপাতালে হামলা, আগস্টে জালালাবাদের কারাগারে হামলা, কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা ও নানগরহার প্রদেশে আফগান সাংবাদিককে খুনের দায় স্বীকার করেছে ইসলামক স্টেট । ফলে সংগঠনটি যে আরও নাশকতামূলক ঘটনা ঘটাতে সক্ষম তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।
২০১৯ সালে ইসলামিক স্টেটের শেষ দুর্গ সিরিয়ার বাঘউজ দখল করে মার্কিন মদতপুষ্ট কুর্দিশ মিলিশিয়া ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস’ (এসডিএফ)৷ ভেঙে পড়ে খিলাফত। তারপরই মার্কিন বাহিনীর হতে ইদলিবে খতম হয় কুখ্যাত ইসলামিক স্টেটের স্বঘোষিত আমির আবু বকর আল বাগদাদি। তবে ভেঙে পড়লেও শেষ হয়ে যায়নি সংগঠনটি। মুখপাত্র আবু হামজা আল-কুরেশি এক অডিও বার্তার মাধ্যমে তাদের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করে ৷ এই ঘটনার পরই টেলিগ্রাম অ্যাপে প্রচারিত ওই বার্তায় বাগদাদির মৃত্যু নিশ্চিত করে আইএস। পাশাপাশি তাদের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন করে হুমকিও দেওয়া হয়।