ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার জোটের মহাসচিব জেন্স স্টলেনবার্গ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইসলামিক স্টেট (আইএস) যাতে ফিরে না আসতে পারে, তা নিশ্চিত করতে আমরা ইরাকে ন্যাটোর প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ড বাড়াব। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠকের দ্বিতীয় দিন ন্যাটো প্রধান জানান, ইরাকে তাদের মোতায়েনকৃত সেনাদের সংখ্যা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে চার হাজার করা হবে। ইরাকে এখনো জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস সক্রিয় উল্লেখ করে তিনি জানান, ক্রমবর্ধমান হামলার কারণে ন্যাটো মিশনের ব্যাপ্তি বাড়ানোর বিষয়ে সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা আফগানিস্তানে জোটের সামরিক উপস্থিতির বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে সেখানে দীর্ঘমেয়াদি এমন রাজনৈতিক চুক্তি হয়েছে, যা আমাদের চলে আসার পথ উন্মুক্ত করবে।সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ন্যাটো জোটের সদস্যদের সঙ্গে আমেরিকার দূরত্ব তৈরি হয়। ক্ষমতা ছাড়ার আগে তড়িঘড়ি ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে নামমাত্র রাখার সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। কিন্তু বাইডেনের প্রশাসন ক্ষমতা নিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে ভালোভাবে জড়াচ্ছে। ইরাক ও আফগানিস্তান বিষয়ক সিদ্ধান্ত দুটি সে ইঙ্গিত বহন করে।