ছবি :বি এম রাকিব হাসান
বি এম রাকিব হাসান, খুলনা: মহানগরী খুলনা ও তার পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে মাদক বিসত্মার লাভ করেছে। ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাজা, বিক্রি হচ্ছে নগরীর লবণচরা, টুটপাড়া, পূর্ববানিয়াখামার, আলমনগর, দৌলতপুরের দেয়ানা ও মহেশ্বরপাশা এলাকায়। গত মাসে তৈরী জেলার সর্বশেষ হালনাগাদ তালিকায় ৪১ জন নতুন মাদক ব্যবসায়ীর নাম অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। গেল বছরের অক্টোবর মাসে জেলায় মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ছিল ৩০ জন।
সংশিস্নষ্ট সূত্রে জানায়, খুলনায় আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদকসেবীর সংখ্যা। গত পাঁচ বছরে জেলায় সাত হাজারেরও বেশী তরুন-তরুনী মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। নারীদের মধ্যে উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক হচ্ছে শিক্ষার্থী। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে টিনএজ মেয়েদের মধ্যে মাদকাসক্তির অন্যতম কারণ হচ্ছে পরিবারের সাথে ভাল সম্পর্ক না থাকা, বাবা মার সাথে পর্যাপ্ত সময় না পাওয়া। আবার ছেলে বন্ধুদের সঙ্গ অন্যতম কারণ হতে পারে।
সংশিস্নষ্ট সূত্র আরও জানায়, গেল মাসে মাদক ব্যবসায়ীদের হাল নাগাদের তালিকায় নতুন যাদের নাম অনত্মর্ভূক্ত হয়েছে তাদের বাসা নগরীর টিবি ক্রস রোড, খালিশপুর হাউজিং এস্টেট, দোলখোলা ইসলামপুর রোড, তেরখাদা উপজেলার শেখপুরা মধ্যপাড়, খালিশপুর নিউমার্কেট এলাকা, রেলিগেট রেল লাইনের পাশে, নয়াবাটি, গোবরচাকা গাবতলা মোড়, দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া পূর্বপাড়া, টুটপাড়া তালতলা হাসপাতাল রোড, বটিয়াঘাটা উপজেলার শৈলমারী গ্রাম, টুটপাড়া মাস্টারপাড়া, আলমনগর রেলিং মিল, বানরগাতি মেট্রোপোল, ক্রিসেন্ট রেল লাইনের পশ্চিম পাশ, মতিয়াখালী ৩য় গলি, টুটপাড়া সরকার পাড়া লেন, বকসিপাড়া মেইন রোড, তালতলা, সোনাডাঙ্গা ১ম ফেজ, কবি নজরম্নল রোড, ফারাজীপাড়া, উত্তর কাশিপুর, টুটপাড়া দারোগা পাড়া, মৌলভী দরগা রোড, আলমনগর রোলিং মিল, রূপসা ষ্ট্যান্ড রোড, মাষ্টারপাড়া, দাকোপ উপজেলার আচাভুয়া গ্রাম, চালনা বৌমার বটতলা এলাকা, তেরখাদা উপজেলার আজোগড়া গ্রাম, ফুলতলা উপজেলার যুগ্নীপাড়া গ্রাম, উত্তর আলকা, ছোট মির্জাপুর, রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রাম, কাজদিয়া মডেল ভিলেজ, পূর্ব বাগমারা, রহিম নগর গ্রাম ও ইলাহীপুর মধ্যপাড়ায়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তরের গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর পারভীন আক্তার জানান, খুলনা-সাতক্ষীরা রোড, ভোমরা, বেনাপোলের বিভিন্ন গ্রাম দিয়ে এবং নদী পথে ইয়াবা ও গাজা আসছে। প্রতিদিনই মাদক উদ্ধার হচ্ছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাঝে মধ্যে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করছে। প্রতি তিন মাস অনত্মর মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা হাল নাগাদ হয়। কখনও বাড়ে আবার এর সংখ্যা কখনও কমে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ছাড়াও র্যাব ও পুলিশ মাদক নির্মুলে অভিযান চালাচ্ছে।