মাদরাসার দুই ছাত্রের ৫দিন এবং দুই শিক্ষকের ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হলে তাদের পুলিশী প্রহরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কুষ্টিয়া থেকে শরিফ মাহমুদ : কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারকৃত মাদরাসার দুই ছাত্রের ৫দিন করে এবং দুই শিক্ষকের ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হকের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে আটক ৪ জনকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করে ছাত্র দ্বয়ের ১০ দিন এবং শিক্ষক দ্বয়ের ৭দিন করে রিমান্ড আবেদন করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। বেলা ১টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল আমলি আদালতের বিচারক রেজাউল করীমের আদালতে আসামিদের উপসি’ত করে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
৫ দিনের রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার “মাদ্রাসা ইবনে মাসউদ (রা.)” এর হেফজ বিভাগের ছাত্র ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং দৌলতপুর উপজেলার ফিলিফনগর গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০)।
৪ দিনের রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন-একই মাদ্রাসার শিক্ষক ও মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আল আমীন (২৭) এবং পাবনা জেলার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মন্ডলের ছেলে মো. ইউসুফ আলী (২৭)।
মামলার তদনত্মকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়ার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদনত্ম) নিশিকানত্ম সরকার জানান, শহরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৪ জনকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) তৎসহ ৪২৭/৩৪ ধারার মামলায় আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানি শেষে দুই মাদ্রাসা ছাত্রের ৫দিন এবং দুই শিক্ষকের ৪দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার দিনগত রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন। পরে ঘটনাস’লে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। ফুটেজ দেখে ভাঙচুরকারীদের শনাক্ত করা হয়। পরদিন শনিবার রাতে কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার ওই মাদ্রাসার দুই ছাত্র এবং তাদের সহযোগিতা করার অভিযোগে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উলেস্নখ্য, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে কুষ্টিয়া পৌরসভা নিজস্ব অর্থায়নে শহরের পাঁচ রাসত্মার মোড়ে শাপলার ভাস্কর্য ভেঙে বঙ্গবন্ধুর তিনটি ভাস্কর্য করার সিদ্ধানত্ম নেয়। নিচের দিকে থাকবে জাতীয় চার নেতার মুর্যাল। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। ১২ অক্টোবর থেকে কাজ শুরম্ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ দেওয়ার একটি ভাস্কর্য তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল।