আমিরুল ইসলাম অল্ডাম :মেহেরপুরের গাংনীতে প্রতিবেশীর উপর হিংসাবশতঃ ধানড়্গেতে বিষ প্রয়োগ করে ১৩টি পাতিহাঁস নিধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এনিয়ে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্থ্য’ নিপু সরকার। হাঁস মেরে ফেলার ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নিত্যানন্দপুর খৃষ্টান পলস্নীতে। গত সোমবার বিকেলে বাড়ির অদূরে পার্শ্বের মাঠে প্রতিদিনের ন্যায় খামারের ২১৯টি হাঁস চরাতে নিয়ে প্রতিবেশী আদম মন্ডলের ফাঁকা জমিতে (ধান কাটার পরে) গেলে সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেয়া দানাদার বিষযুক্ত ধান খেয়ে সাথে সাথে ১৩ টি হাঁস মৃত্যুুর মুখে ঢলে পড়ে।
উপজেলার নিত্যানন্দপুর গ্রামের দীনেশ সরকারের ছেলে হাঁস খামারের মালিক নিপু সরকার ও স্ত্রী মার্থা শানত্মনা মন্ডল (বাসত্মী সরকার ) জানান,আমরা জীবন জীবিকার জন্য নিরম্নপায় হয়ে মা-ছেলে মিলে হাঁস পালনের সিদ্ধানত্ম নিই। আমার শিড়্গিত বেকার ছেলে নিপু সরকারকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে হাঁস মুরগী পালনের উপর প্রশিক্ষন নিয়ে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে হাসঁপালন শুরু করি।যুবক নিপু সরকার জানান,করোনা পরিসি’তি সামাল দিতে আমার বাবা কর্মের সন্ধানে বেসরকারী সংস’ায় চাকরীর সুবাদে বাইরে থাকেন। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে এবছরের জুন মাসে ২০ হাজার টাকা মূলধন বিনিয়োগ করে মাত্র ৭০ টি হাঁস নিয়ে খামার শুরম্ন করেছি। বর্তমানে আমার খামারে ২১৮ টি পাতি হাঁস রয়েছে। ইতোমধ্যে ডিম উৎপাদন শুরম্ন হয়েছ্ে। আমি ও আমার মা কঠোর পরিশ্রম করে সারাদিন দু’জনে মিলে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এদিকে আমাদের উপর ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিবেশী মৃত সুরঞ্জন মন্ডলের ছেলে আদম মন্ডল তার ফাঁকা জমিতে বিষ প্রয়োগ করে আমার ১৩ টি হাঁস নিধন করেছে। আমি ঋণ গ্রস’ একজন অসহায় যুবক আমি ঋণের কিসিত্ম কোথা থেকে দেব। আমি এই অন্যায়ের বিচার চাই।
এনিয়ে বিষ প্রয়োগকারী অভিযুক্ত আদমের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।তবে তার ছেলে রম্নমন মন্ডল ও তার চাচাতো ভাই শখরিও সরকার জানান, হাঁস পালন করে আমাদের ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে।আমরা অনেকদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিষেধ করেছি। আমাদের কথা কর্ণপাত না করায় আমরা ড়্গেতে বিষ প্রয়োগ করেছি। বিচারে যা হয় তাই হবে। এব্যাপাওে সামাজিকভাবে সালিস মিমাংসার উদ্যোগ নেয়া হলেও আদম মন্ডল তা অমান্য করেছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগের প্রেড়্গিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী থানা ইনচার্জ ওবাইদুর রহমানের নির্দেশে ঘটনাস’ল পরিদর্শন করেন গাংনী থানার এস আই নূর ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স। আইনগত ব্যবস’া নেয়া হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।