ছবি শরিফ মাহমুদ
কুষ্টিয়া থেকে শরিফ মাহমুদ : কুষ্টিয়ায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে নির্যাতনের শিকার ওই স্কুল ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করলে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত অভিসহ চারজনকে গ্রেফতার করে।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ওসি (তদনত্ম) নিশিকানত্ম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নির্যাতনের শিকার ওই স্কুল ছাত্রের নাম লাবিব আলমাস। সে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
লাবিবের বাবা শামসুর রহমান বলেন, গত ১৮ নভেম্বর সকালে আমার ছেলে স্কুলে অ্যাসাইমেন্ট জমা দিতে যায়। পরে তার বন্ধু অভি ও রাতুলের সঙ্গে দেখা হলে তারা আমার ছেলেকে তাদের বাসায় দাওয়াত আছে বলে জানায়। আমার ছেলে বিকেলে তাদের বাসা কোর্টপাড়ায় গেলে সেখান থেকে রিকশা যোগে তাকে হাউজিং চাঁদাগাড়া মাঠের মধ্য নিয়ে যাওয়া হয়। আগে থেকেই ওকে মারার পরিকল্পনা করেছিল ওর বন্ধুরা। চাঁদাগাড়া মাঠে পৌঁছানোর পর আমার ছেলেকে অভি ও রাতুল এলাপাতাড়ি শারীরিক নির্যাতন করে। স’ানীয় কয়েকজন ঘটনাটি দেখে এগিয়ে এসে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে আমার ছেলেকে রিকশা যোগে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, লাবিবকে শারীরিক নির্যাতনের সময় ওই কিশোররা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে নির্যাতনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এ নিয়ে কুষ্টিয়া জুড়ে তোলপাড় শুরম্ন হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার নির্যাতনের শিকার লাবিব আলমাসের বাবা শামসুর রহমান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনজনের নাম উলেস্নখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শরিফ মাহমুদ