বি এম রাকিব হাসান, খুলনা: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার মালামাল সরবরাহের কাজে সিন্ডিকেটের অভিযোগ উঠেছে। ৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যোগসাজসে ৬টি গ্রম্নপের ওই কাজ ভাগবাটোয়ারা করে বাগিয়ে নিয়েছেন, এমন অভিযোগ বঞ্চিত ঠিকাদারদের। এড়্গেত্রে চক্রটি একটি বিশেষ পরিবারের নাম ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে উলেস্নখিত সরবরাহের কাজে সিন্ডিকেট যে হয়নি, তা পুরোপুরি অস্বীকার করেননি খোদ খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা: মুন্সী মো: রেজা সেকেন্দার।
অনির্বাণ প্রতিবেদকের কাছে তিনি বলেন, যে বা যারা সিন্ডিকেট করেছে, তারা বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করেছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে এখানে হাসপাতাল কর্তৃপড়্গ কোনভাবেই জড়িত নয়। উপরম্নন’ কর্তৃপড়্গ মালামালের মান ও দর যাচাই-বাছাই করেই তবে তা গ্রহণ করবে, গড়মিল দেখা দিলে পুনরায় দরপত্র আহবান করা হবে।
জানা গেছে, স্বাস্ ন্ত্রণালয় হতে ১০ কোটি টাZকা্য বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেড়্গে ৬টি গ্রম্নপের এম, এস, আর সামগ্রী ও অন্যান্য মালামাল ক্রয়ের জন্য চলতি বছরের ১৮ অক্টোবর কয়েকটি পত্রিকায় উন্মুক্ত দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেখানে উলেস্নখ রয়েছে, শর্তসম্বলিত প্রতি সেট সিডিউল মূল্য সাত শত পঞ্চাশ টাকা। যা সোনালী ব্যাংকের ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে সিডিউল ক্রয় করতে হবে হাসপাতাল থেকে। ১৯ অক্টোবর হতে ১৫ নভেম্বর পর্যনত্ম দরপত্র বিক্রয়ের তারিখ এবং পরদিন ১৬ নভেম্বর বেলা ১১টা পর্যনত্ম হাসপাতাল পরিচালকের দপ্তরে দাখিলের দিন ধার্য্য করা হয়। ওইদিন ই বেল্ াসাড়ে ১১টায় দরপত্র বাক্স খোলার তারিখ নির্ধারণ হয়। ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যনত্ম এই দরপত্র বৈধতার মেয়াদ ঘোষণা করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
সেখানে আরও উলেস্নখ, ক গ্রম্নপের ইডিসিএল বহির্ভূত ওষুধ সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, খ ্রুপের সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা, গ গ্রম্নপের কেমিক্যাল ও ফ্লিম সামগ্রীর জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য ৬০ হাজার টাকা, গজ, ব্যান্ডিজ, তুলা ইত্যাদি সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং লিনেন ও রাবার সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা আর্নেস্টমানি এবং সিকিউরিটি মানি হিসেবে কার্যাদেশ মূল্যের শতকরা ১০ ভাগ অর্থ ধার্য্য করার বিষয়ে উলেস্নখ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোট ৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২৪টি সিডিউল বিক্রি হয়। তবে নির্ধারিত দিনে জমা পড়ে ১৮টি। ৪টি প্রতিষ্ঠান যোগসাজসে এসব সিডিউল জমা দেয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে খুলনার সাইফুল ইসলাম ট্রেড লিংক, জামান এন্টারপ্রাইজ, রহমান ফার্মেসী, রাইসা এন্টারপ্রাইজ ও ফুলতলা উপজেলার দামোদর এলাকার তাকরীর এন্টারপ্রাইজ।
খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা: মুন্সী মো: রেজা সেকেন্দার জানান, জমাকৃত সিডিউলগুলো মূল্যায়নের জন্য ৭ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, একজন প্রকৌশলী, একজন শিড়্গক, সমাজসেবা’র উপ-পরিচালক এবং তিনজন চিকিৎসক যথাক্রমে ডা: সম দেলোয়ার হোসেন, ডা: তুষার আলম ও ডা: ফরিদ উদ্দিন রয়েছেন। এই কমিটি আগামী ৭দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবেন এবং প্রয়োজনে বাজার দর যাচাই কমিটি করে অত:পর ঠিকাদারী কার্যাদেশ প্রদান করবেন। এছাড়া ৩ সদস্যের কমিটি কার্যাদেশে বর্ণিত মালামালের মান যাচাইপূর্বক তা গ্রহণ করবেন। আগামী ২৯ নভেম্বর দরপত্র মূল্যায়নের তারিখ ধার্য্য হয়েছে।
উলেস্নখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে এমএসআর খাতে বরাদ্দ ১০ কোটি টাকা। যদিও এই অর্থ হাসপাতালের জন্য অপ্রতুল। বরাদ্দকৃত অর্থের অর্ধেক অর্থাৎ ৫ কোটি টাকা শুধুমাত্র ক-গ্রম্নপের ওষুধ ক্রয়ের জন্য নির্ধারিত। অবশ্য এর ৭৫ শতাংশ অর্থ অর্থাৎ ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ওষুধ এ্যাসেন্সিয়াল ড্রাগ কোম্পানী লিমিটেড (ইডিসিএল) থেকে ক্রয় বাধ্যতামূলক। বাকি ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা স’ানীয় ওষুধ (ইডিসিএল বর্হিভূত) ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ। যার মূল্য এমআরপি (ম্যাক্সিম্যাম রিটেইল প্রাইস) দরে মূল্যায়ন করা হয়। এছাড়া এমএসআর খাতে বরাদ্দকৃত ১০ কোটি টাকার বাকী অর্ধেক অর্থাৎ ৫ কোটি টাকা অন্য ৫টি গ্রম্নপের জন্য নির্ধারিত।##
খুলনায় ভ্যানচালক হত্যা
মামলায় কাওসারের মৃত্যুদন্ড
ছবি বি এম রাকিব হাসান,
খুলনা ব্যুরো: খুলনার রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা এলাকার ভ্যান চালক ইমরান সরদার হত্যা মামলার একমাত্র আসামি আমির আলী মীর ওরফে কাওসারকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে এক হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ মশিউর রহমান এই আদেশ দেন।
আদালত তার রায়ের পর্যালোচনায় জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যাকান্ডটি সংগঠিত হয়েছিলো। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপসি’ত ছিলেন।
মামলার সংড়্গিপ্ত বিবরনে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রম্নয়ারি দুপুরে ইমরান সরদার তার ভ্যান নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন সকালে রূপসার নন্দনপুরের একটি সুপারি বাগান থেকে ইমরানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় নিহতের পিতা ইউসুফ সরদার বাদি হয়ে অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে রূপসা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় মোবাইল ফোন ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে কাওসারকে গ্রেফতার করে। মামলার তদনত্ম কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শাহিনুর রহমান একই বছরের ২ জুলাই কাওসারকে আসামি করে আদালতে চাজশিট দাখিল করেন। ৩২ স্বাড়্গীর মধ্যে ২৯ জন স্বাড়্গীর স্বাড়্গ্য শেষে আদালত এই রায় দেন।