গাংনীতে ১১লক্ষাধিক টাকা নিয়ে ‘আলোর পথে যুব উন্নয়ন সংস্থা’র পরিচালক উধাও। টাকা ফেরত পেতে পার্টনারদের মামলা

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : মেহেরপুরের গাংনীতে প্রায় ১১ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে ‘আলোর পথে যুব উন্নয়ন সংস’ার পরিচালক গা ঢাকা দেয়ার অভিযোগ পাওয়াা গেছে। আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত পেতে পার্টনারদের পড়্গ থেকে পেনাল কোডে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গাংনীতে বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ী আত্মকর্মসংস’ান সৃষ্টির লড়্গ্যে বেসরকারী সামাজিক সংস’া আলোর পথে যুব উন্নয়ন সংস’া নামে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ভূঁয়া কাগজ পত্র দেখিয়ে সনদ প্রাপ্ত হয়ে একটি যুব উন্নয়ন সংস’া গঠন করা হয়। উপজেলার মটমুড়া ইউপির অনত্মর্গত সিন্দুরকৌটা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে এহসান কবীর সবুজ পরিচালক /সভাপতি পরিচয় দিয়ে সংস’ার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।যিনি ইতোমধ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে রেজিঃ করিয়ে নেয়। যার রেজিঃ নং- যুবঅ/মেহের-০৯।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আলোর পথে যুব উন্নয়ন সংস’ার পরিচালক না ভাঙ্গিয়ে উপজেলার সিন্দুরকৌটা গ্রামের পার্শ্ববর্তী কামারখালী গ্রামের ৫ জন বেকার যুবককে সাথে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার ছক তৈরী করে গরম্ন মোটাতাজাকরণ, ছাগল ও হাঁস মুরগী পালনের প্রকল্প হাতে নেয়। এসময় এসব প্রকল্প বাসত্মবায়নে কামারখালী গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে ইকরামুল হকের সাথে সিকিউরিটি বাবদ ৬ লাখ টাকায় খামার ভাড়া চুক্তি নামা সম্পাদন হয়। ৬ মাসের মধ্যে চুক্তি মোতাবেক ৬ লাখ পরিশোধ করার কথা থাকলেও অদ্যাবধি করা হয়নি। এছাড়াও মাসিক ৪ হাজার ৫শ’ টাকা ভাড়া চুক্তির টাকাও পরিশোধ না করে সবুজ এখন চুক্তিভঙ্গ করে গড়িমসি করছে।অভিযোগ পেয়ে কামারখালী গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে আলোর পথে যুব উন্নয়ন সংস’া নামে কোন এনজিও অফিসের অসিত্মসত্ম খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অভযোগ কারীরা আরও বলেন, সংস’ার নিয়মানুযায়ী খামার গড়তে আমরা মিন্টু হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মাহফুজ, মনয়ার হোসেন ও আলামিন হোসেন ব্যাংক এশিয়া বামন্দী শাখায় সর্বমোট ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা (ব্যাংক এশিয়া স্টেটমেন্ট অনুযায়ী,যার ব্যাংক ভাউচার রয়েছে) , সংস’ার প্রয়োজনে হসত্মমজুদ ৩ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৭ টাকা এবং ব্যাংকে গচ্ছিত ১ লাখ ৬ হাজার ৪৭৫ টাকা সর্বমোট ১০ লাখ ৭৬ হাজার ৯৬২ টাকা বিশ্বাসভঙ্গ করে প্রতারণা মূলক ভাবে আত্মসাৎ করেছে। বর্তমানে উক্ত টাকা চাইতে গেলে টাকা দেবে না বলে পরিচালক সবুজ প্রভাব দেখিয়ে তার ভাড়াটে মাসত্মানদের লেলিয়ে দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ইকরামুল হক আরও জানায়, সবুজ একজন ঠক, প্রতারক,বিশ্বাসঘাতক,সে নিজেকে একজন যুব উন্নয়ন অফিসার পরিচয় ,এমনকি বাংলাদেশের খ্যাতনামা এনজিও পরিচালক পরিচয় দিয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরাধীণ বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিড়্গণ দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে।ইতোমধ্যে অনেকেই প্রশিড়্গণ ছাড়াই ভূয়া সনদে ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নিয়েছে। আরও জানা গেছে, গরম্ন, ছাগল মোটাতাজাকরণ, সেলাই, মৎস্য পালন ইত্যাদি প্রশিড়্গণের নাম করে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে সনদ পত্রে স্বাড়্গর নিয়ে একাধিক প্রশিড়্গণ ছাড়াই সনদপত্র বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এব্যাপারে আলোর পথে যুব উন্নয়ন সংস’ার পরিচালক/সভাপতি এহসান কবীর সবুজ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন , আমি পরিসি’তির স্বীকার। আমি বর্তমানে গাংনীতে অবস’ান করি। গাংনীতে আমার প্রধান কার্যালয় রয়েছে। আমি কামারখালীতে এনজিওর শাখা অফিস করেছিলাম।আমার অফিসের সাইনবোর্ড গায়েব করে তারা নতুন নামের একটি সাইন বোর্ড ‘ইউনিক ফাউন্ডেশন’ টাঙ্গিয়েছে।আমি সংস’ার কোন টাকা তছরম্নপাত বা আত্মসাৎ করিনি। একটি চক্র আমাকে মিথ্যা ফাঁসানোর জন্য আমি টাকা আত্মসাৎ করেছি বলে মিথ্যাচার করছে।
এ নিয়ে মেহেরপুরের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ফিরোজ আহমেদ জানান, যুব উনয়্ননের রেজিষ্টেশন নিয়ে কোন জালিয়াতি করলে তার বিরম্নদ্ধে আইনগত ব্যবস’া নেয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনে তার রেজিঃ বাতিল করা হবে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post