রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ছবি : সংগৃহীত
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য বাস্তুচ্যুতদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যবাসন নিয়ে আলোচনা করবেন। সম্মেলনের আয়োজকরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা, আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষদের সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাবে। জাতিসংঘ চলতি বছর বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক চাহিদা মেটাতে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি সাহায্যের আবেদন করলেও, এখন পর্যন্ত এর অর্ধেকেরও কম পাওয়া গেছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমদ অব উইম্বলডন জানিয়েছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার বিষয়টি তুলে ধরে এ ক্ষেত্রে ভূমিকা অব্যাহত রাখতে যুক্তরাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কক্সবাজারে দশ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ছবি : সংগৃহীত
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ ও কানাডানিয়ান দূতাবাস ও কমনওয়েলথ আয়োজিত রোহিঙ্গাবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে লর্ড আহমদ আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে যুক্তরাজ্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বৃহত্তর কমনওয়েলথকে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি, রোহিঙ্গা সংকট এখন বৈশ্বিক সমস্যা। অনুষ্ঠানে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড, ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ অংশ নেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ছবি : সংগৃহীত