বি এম রাকিব হাসান, খুলনা: ঘূর্ণিঝড় আমফান, অতি বর্ষণ এবং শিলা বৃষ্টির কারণে বৃহত্তর খুলনায় চলতি মৌসুমে পাট চাষের লড়্গ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে পাটের দাম ভালো হওয়ায় ড়্গতিগ্রসত্ম কৃষকদের মুখে হাসি ফুটছে। এতে ড়্গতি পুষিয়ে যাবে বলে আশা করছে এ অঞ্চলের কৃষকরা।
খুলনাঞ্চলে পাটের সোনালী অতীত রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে শিল্পাঞ্চল নামে খ্যাত খুলনায় একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে বেসরকারী পাটকলও একটি বিশাল স’ান দখল করে নেয়। তাই এ অঞ্চলের পাটের চাষাবাদ নিয়ে সংশিস্নষ্ট বিভাগ বিশেষ নজরদারি রাখে সব সময়।
যদিও খুলনা অঞ্চলে পাটের চাষ খুব বেশি হয় না। তারপরও এবার খুলনা, বাগেরহাট ও সাতড়্গীরা জেলায় ৫০ হাজার একর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। যা থেকে ২ লাখ ৫৩ হাজার বেল পাট উৎপাদনের লড়্গ্যমাত্রা রয়েছে। ইতোমধ্যেই চাষিরা পাট জাগ দেওয়ার কাজ শুরম্ন করেছেন। কোথাও কৃষকরা পাটের আশ ছাড়াতে ব্যসত্ম সময় পার করছেন।
এ
অঞ্চলের পাট চাষীরা জানান, এবার অনেক কৃষক পাট চাষ করেছিলেন। কিন’ আম্পান, অতি বর্ষণ এবং শিলা বৃষ্টির কারণে পাটের ব্যাপক ড়্গতি হয়েছে। উঁচু এলাকায় কিছু পাট হয়েছে। তবে পাটখড়ি ও পাটের দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। পাটখড়ির গলস্না ৬০-৭০ টাকা এবং প্রতি মণ পাট ২৪০০-২৫০০ টাকা পর্যনত্ম। ভালো দামের কারণে ড়্গতি কিছুটা পুষিয়ে যাবে।
খুলনা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, একবিঘা জমিতে ১২-১৪ মণ পর্যনত্ম পাট উৎপাদন হয়। আর বিঘা প্রতি পাট চাষে কৃষকের খরচ হয় ৪ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা পর্যনত্ম। আর এক বিঘা জমিতে উৎপাদিত পাটের পাশাপাশি ৮০-৯০ আটি পাটকাঠি হয়। যার প্রতি আটির দাম ৫০-৬০ টাকা। এবার কৃষকরা বেশি চাষাবাদ করেছেন বিএডিসি-১ এবং বিজিআরআই-৮ জাতের পাট।
খুলনার চুকনগরের প্রবীণ পাট চাষী আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবার পাটের উৎপাদন বেশ ভালো। তাছাড়া দামও সনেত্মাষজনক। ফলে বিভিন্ন দুর্যোগে যে ড়্গয়ড়্গতি হয়েছে তা হয়তো পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। তাই কৃষকরা আশায় বুক বেধে আছে।
খুলনা বিভাগীয় পাট অধিদফতরের সহকারী পরিচালকের কার্যলয়ের সহকারী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, এবার পাটের দাম মণ প্রতি ২২০০-২৪০০ টাকা। উৎপাদনও ভালো। এবার আবহাওয়ার জন্য ২০-২৫ শতাংশ উৎপাদন কম হয়েছে। তারপরও পাটের দাম ভালো থাকার কারণে কৃষকের পুষিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ব্যাপারীরা পাট কিনতে শুরুকরেছেন।